গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নাশকতার ছক তৈরির অভিযোগে ভোটের আগের রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মিজানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা হলেন জিন্নাত হোসেন, জুনায়েদ আলী জয়, আসাদ আলী ও শরীফুল ইসলাম। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গতকাল মঙ্গলবারের এই নির্বাচনে নাশকতার ছক আঁটার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মিজানের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিনা ওয়ারেন্টে গভীর রাতে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়েছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান তিনি।
সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত ৩টার দিকে গুলশান ১ নম্বরের ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাসা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রাত ১টা থেকে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ তার বাসা ঘিরে রাখে। নাশকতার ছক কষার ২টি অডিও ক্লিপ সংগ্রহ করার পর তা বিএনপি নেতা মিজানের বলে নিশ্চিত হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আমাদের সন্দেহের মধ্যে ছিলেন মেজর মিজান। ফলে আমরা তার মোবাইল ট্র্যাক করি। নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনা করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করি। এর আগেও বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়। মিজানসহ সন্দেহভাজন নেতাদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মিজানের ঘটনায় গুলশান থানায় আইসিটি আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।