• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন

ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবর মো. মহরম আলীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদনণ্ড

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ আগস্ট ২০১৮

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৩৮) কে হত্যার অপরাধে দেবর মো. মহরম আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদনণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন। ঘটনাটি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার পাথৈর এলাকায় ২০১২ সালে সংঘটিত হয়। 

হত্যার শিকার খোদেজা বেগম পাথৈর গ্রামের কলওয়ালা বাড়ীর কৃষক মো. ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী। আর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মহরম আলী ইউনুছ মিয়ার ছোট ভাই। তার পিতার নাম মৃত লুৎফর রহমান ওরপে আম্মর আলী।

মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়, ২০১২ সালের ২২ মে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত খোদেজা বেগমের সাথে গায়ে মাখা সাবান নিয়ে তার ননদ নেহার আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বাড়িতে থাকা খোদেজার দেবর মহরম আলী ক্ষীপ্ত হয়ে তার তলপেটে সজোরে লাথি মারে। এতে খোদেজা বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে খোদেজার স্বামী ইউনুছ মিয়া ফসলি জমির কাজ থেকে বাড়ীতে এসে দেখেন স্ত্রী মাটিতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে এবং বাড়িতে বহু মানুষের ভীড়। তিনি তাৎক্ষনিক পাশ্ববর্তী খিলা বাজার থেকে পল্লী চিকিৎসক বাবুল দাসকে বাড়িতে এনে তার স্ত্রীকে দেখান। ওই পল্লী চিকিৎসক খাদিজা বেগমকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় কৃষক ইউনুছ মিয়া ওইদিনই শাহরাস্তি থানায় ভাই মো. মহরম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহরমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান ওই বছর ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আমান উল্যাহ জানান, মামলাটি দীর্ঘ ৫ বছর চলমান অবস্থায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে। সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামীর উপস্থিতিতে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আলহাজ মো. ইকবাল-বিন-বাশার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads