মোঃ ইমাম হোসেন
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের হুলাসখালী ফসলরক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫-২০ফুট জায়গা কেটে দিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে নিষিদ্ধ ভিম জাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মাছ শিকারের সুবিধার্থে স্থানীয় জেলেরা রাতের আঁধারে বাঁধটি কেটে দিচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের আওতায় হুলাসখালী গ্রামের সামনে এই ফসলরক্ষা বাঁধটির অবস্থান।
হাওরের একমাত্র বোরো ফসলরক্ষা বাঁধটি গত বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সংস্কার ও মেরামত করা হয়। দুই সপ্তাহ আগে রাতের আঁধারে স্থানীয় জেলেরা এই বাঁধটির ১৫-২০ফুট জায়গা কেটে দেয়। এরপর থেকে সেখানে চলছে ভিম জাল পেতে মাছ শিকার।
সরেজমিনে হুলাসখালী ফসলরক্ষা বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, ওই ফসলরক্ষা বাঁধে তিনটি নিষিদ্ধ ভিম জাল পেতে রাখা হয়েছে। এটি এমন একটি জাল যে জাল থেকে পোনা মাছ পর্যন্ত রেহাই পায় না। বাঁধের কাটা স্থানে পুতে রাখা রয়েছে বেশ কয়েকটি বাঁশের খুঁটি।
হুলাসখালী গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্যজীবী আবুল মিয়া বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসে বানডা ভাইংগা গেছিল। এই বানডা হুলাসখালী গ্রামের জেলেরা কেটে দেয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, হুলাসখালী গ্রামের জেলেরা খুব খারাপ। মাছের লোভে পরে তারা রাতের আধারে এই বাঁধটি কেটে দিয়েছে। এই বাঁধের আওতায় প্রায় পাঁচ হাজার জমি রয়েছে।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, কারা এই বাঁধটি কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্ঠা চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল ইসলাম বলেন, সরেজমিনে গিয়ে বাঁধটির অবস্থা দেখে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন, এই ফসলরক্ষা বাঁধটি কেটে ফেলা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।