• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লায় অপহৃত শিশু ময়মনসিংহে উদ্ধার, আটক ২

মেহেদী হাসান মিরান

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

কুমিল্লায় অপহৃত শিশু ময়মনসিংহে উদ্ধার, আটক ২

  • কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

কুমিল্লা নগরীতে অপহৃত মেহেদী হাসান মিরান নামের এক শিশুকে ২৪ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহের গৌরিপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ওই বাসার সাবলেট ভাড়াটিয়া নাহিদ ও নাহিদের সহযোগী মাসুদকে আটক করে।

শিশু মেহেদি হাসান মিরান কুমিল্লা নগরীর ইবনে তাইমিয়া স্কুলের কেজি শ্রেণির ছাত্র। সে জেলার চান্দিনা উপজেলার আটচাইল গ্রামের সৌদি প্রবাসী কেফায়েত খানের ছেলে এবং নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার ফাতেমা মঞ্জিলের একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া।

কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া জানান, গত শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় মিরানের মায়ের অনুরোধে তাদের বাসার সাবলেট ভাড়াটিয়া নাছিমার ছেলে নাহিদ মিরানকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। দুপুরে স্কুলে গিয়ে মিরানকে না পেয়ে নাহিদের বাসায় খোঁজ নিয়ে তাকেও পাওয়া যায়নি। পরে নিখোঁজ মিরানের মা নুসরাত জাহান এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

ওসি আরও জানান, অপহরণকারীরা ছিল ট্রেনে, তাই মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পাওয়া গেলেও সেখানে পুলিশ ছুটে গিয়ে ওদের না পেয়ে ফিরে আসে। পরবর্তীতে রোববার দুপুরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ অপহরণকারী চক্রের অবস্থান ময়মনসিংহের গৌরিপুর রেলওয়ে স্টেশনে নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি ময়মনসিংহ ডিবি ও জিআরপি পুলিশকে অবহিত করা হয়।  এরপর সেখানে তারা অভিযান চালিয়ে। অপহৃত মিরানকে উদ্ধার করা হয়।  এসময় আটক করা হয় অপহরণকারী নাহিদ ও মাসুদকে।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহের গৌরিপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে জিআরপি পুলিশের সহায়তায় অপহরণকারীদের আটক ও অপহৃত ওই স্কুল ছাত্র মিরানকে উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে থাকা স্কুল ব্যাগের খাতাপত্র ও ডায়েরি থেকে স্কুলের নম্বরে ফোন করে মিরানের পরিচয় নিশ্চিত হয়। এদিকে উদ্ধার হওয়া শিশু ও অপহরণকারীদের কুমিল্লায় আনতে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ময়মনসিংহ গিয়েছে বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি জানিয়েছেন।

ইবনে তাইমিয়া স্কুলের প্রাথমিক শাখার ইনচার্জ কামরুজ্জামান সোহেল জানান, শনিবার স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রের মা তার ছেলেকে বাসায় নেয়ার জন্য স্কুলে আসেন। এসময় আমরা তাকে জানাই ওই ছাত্র স্কুলে আসেনি। এতে শিশুটিকে খোঁজাখুজির পর তিনি কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেন। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ওই ছাত্রের ব্যাগে থাকা স্কুল ডায়েরি থেকে ফোন নম্বর পেয়ে পুলিশ আমাকে ফোন করে শিশুর পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং শিশুর সঙ্গে কথা বলায়।

ওই স্কুল ছাত্রের মা নুসরাত জাহান জানান, আমার বাসার একটি রুম সাবলেট হিসেবে নাছিমা নামের এক মহিলাকে ভাড়া দিয়েছিলাম। সেখানে তার ছেলে নাহিদ মাঝে মধ্যে আসতো। গত ২-৩ ধরে সে (নাহিদ) বাসায় নিয়মিত অবস্থান করে আসছিল। শনিবার তাকে বিশ্বাস করে আমার ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর পরই এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads