• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মাদক ব্যবসায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে শিগগির অভিযান

আগ্নেয়াস্ত্র

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

মাদক ব্যবসায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে শিগগির অভিযান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আত্মসমর্পণ করা ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে ৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এখনো ৯ শতাধিক তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা ৩ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই র্যাব ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।

কক্সবাজার পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা চাইলে এখনো থানায় গিয়ে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে পারবে। এতে প্রচলিত আইনে দায়ের হওয়া মামলা মোকাবেলা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার নিশ্চয়তা থাকবে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, শুধু কক্সবাজার জেলাতেই মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে এখনো কমপক্ষে ৩শ’ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহূত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা। মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও কক্সবাজারের আন্ডার ওয়ার্ল্ডে পলাতক সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অস্ত্র উদ্ধারেও একই সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাদক সমস্যা ছাড়া কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা না গেলে যেকোনো সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে পুলিশের সাবেক আইজি নূরুল হুদা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকলে অপরাধীরা সেটা ব্যবহার করবেই। হয় প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য, নয় কারো প্রতি অপপ্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করার মানসিকতা থেকে। সুতরাং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে অভিযান নতুন কিছু নয়, এটা পুলিশের চলমান একটা কাজ। খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি তথা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হলে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ  কুমার দাশ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সম্প্রতি পুলিশের নেতৃত্বে গঠিত মাদক নির্মূল কমিটি ৩৭০ ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ীর নতুন তালিকা করেছে। এসব ব্যবসায়ীর শতাধিক বিলাসবহুল বাড়িও শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা ইতোমধ্যে সোর্স নিয়োগ করেছি। কাজ চলছে, শিগগিরই অস্ত্র উদ্ধারে আমরা সফলতার মুখ দেখব।

সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের নাজিরার টেক সংলগ্ন সাগরে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ১০ জন জলদস্যুকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। র্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর  মো.  মেহেদী হাসান বাংলাদেশের খবরকে বলেন,  গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল শহরের নাজিরার টেক সংলগ্ন সাগরে অভিযান চালায়। এ সময় ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৭ রাউন্ড গুলিসহ ১০ জলদস্যুকে আটক করে। জলদস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়েই আরো পাঁচটি অস্ত্র পানিতে ফেলে দেয় বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এখানকার অস্ত্রধারীরা এখন আর এলাকায় নেই। একের পর এক অভিযানে অস্ত্রধারীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ফলে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads