• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সেতু তৈরিতে পুকুরচুরি

কুড়িগ্রাম উলিপুরে প্রায় ২৭ লাখ ব্যয়ে নির্মিত সেতু উদ্বোধনের আগেই ভেঙ্গে পড়েছে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

সেতু তৈরিতে পুকুরচুরি

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ মে ২০১৯

কুড়িগ্রামে একটি সেতু তৈরিতে ‘পুকুর চুরি’র অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৭ লাখ টাকায় নির্মিত একটি সেতু নির্মাণের চার বছরের মধ্যে দেবে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ঠিকমতো কাজ করা হয়নি বলে এ ঘটনা ঘটেছে।

জেলার উলিপুর উপজেলায় সাঁকোরপাড় এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, বুড়াবুড়ি-জনতারহাট সড়কের এ সেতুটির মাঝখানে খানিকটা দেবে গেছে। একপাশে ভেঙে গেছে। নেই সংযোগ সড়ক।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফিট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করে মেসার্স হামিদ ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ওই বছরের এপ্রিলে শেষ করে। ওই এলাকার ৩৮ বছর বয়সী সফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কাজটা ঠিকমতো করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট দফতরও যথাযথ নজরদারি করেনি। তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ঠিকাদার যোগসাজশে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

ওই এলাকার অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। ওই সময় এলাকাবাসী আপত্তি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। একটি সেতুর অভাবে ওই এলাকার ২০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আবদুল হামিদ বলেন, কাজ সঠিকভাবে করা হয়েছে। বন্যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এর দায় এড়িয়েছেন তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের ওপর। আনিছুর রহমান এখন গাইবান্ধা সদর  উপজেলায় কর্মরত। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর বিষয়টি সামনে আনলেন। এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। ব্যাপারটা কনসিডার করলে ভালো হয়।

এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল কাদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads