• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
বকশীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এএসআই ক্লোজড

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

বকশীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এএসআই ক্লোজড

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০১৯

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফেরদৌসের (৩২) বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর মা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় এএসআই ফেরদৌসকে জামালপুর পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়ার কেবি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর উপর কুনজর পরে কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ফেরদৌসের। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ফেরদৌস। এছাড়া স্কুল ছাত্রীর মা স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে এএস আই ফেরদৌস তাদের বাড়িতে  যাতায়াত করতো। বাড়িতে গিয়েও একই প্রস্তাব দিতেন তিনি। গত ৬ জুন বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে এএসআই ফেরদৌস ওই বাড়িতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই ছাত্রী নিজেকে রক্ষা করে চিৎকার দিলে ফেরদৌস দ্রুত দরজা খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যান। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে চিনতে পারলেও পুলিশের লোক বলে তাকে কেউ আটক করতে সাহস পায়নি।

এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর মা ইউপি সদস্য বলেন, বকশীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মাহবুব আলম গত রোববার (২৩ জুন) সন্ধায়  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেয়েকেসহ আমাকে বকশীগগঞ্জ থানায় ডেকে নিয়ে যান। আমার মেয়ের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি আমাকে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে এবং আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে খুবই লজ্জাজনক অবস্থায় সমাজে বসবাস করছি। এ ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে লজ্জায় বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘ইউপি সদস্যার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। আমি পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনাটির সঠিক তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। 

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আবু সুফিয়ান বলেন, এএসআই ফেরদৌসকে জামালপুর পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। ভিকটিম মেয়েটির মায়ের অভিযোগের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads