• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
স্ত্রীকে কুপিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

চাঁদপুরের বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামে হত্যার শিকার বেবি বেগম ডানে। তার পাশে ঘাত স্বামী খোরশেদ আলম।

ছবি: বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

স্ত্রীকে কুপিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৯

চাঁদপুর সদর উপজেলার গুলিশা গ্রামে স্ত্রী বেবী বেগম (৪৫) কুপিয়ে হত্যার পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী খোরশেদ আলম পাটওয়ারী (৬০)।

আজ রোববার সকালে চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওযা চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন খোরশেদ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাতুড়ি উদ্ধার করেছে।

এর আগে, ভোর রাতে স্ত্রী বেবী বেগমকে নিজ বসত ঘরে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে খোরশেদ।

হত্যার শিকার বেবী বেগম জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা গ্রামের শেখ বাড়ীর মৃত আবুল হাশেম শেখের মেয়ে। খোরশেদ আলম সদরের বালিয়া ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়ীর মৃত আবদুল কুদ্দুছ পাটওয়ারী। বেবী-খোরশেদ দম্পত্তির তিন মেয়ে। তাদের সবারই বিয়ে হয়েছে।

নিহত বেবী বেগমের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, সকালে তার বোন জামাই খোরশেদ আলম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার করার পর সদর হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যু সংবাদ আসে। দ্রুত তারা সংবাদটি দিতে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখে দরজায় তালা দেয়া। পরে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বেবী বেগমের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায় । ঠিক কি কারণে এই ঘটানাটি ঘটেছে তার সঠিক কোনো কারণ জানাতে পারেনি নিহতদের পরিবার।

তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রায়ই খোরশেদ আলম তার স্ত্রীকে মারধর করতো।  নিহত দম্পতির ৩ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় খোরশেদ ও তার স্ত্রী বেবী একাই বাড়িতে থাকতেন।

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রব জানান, কী কারণে এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহই মনে হচ্ছে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে বেবী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং খোরশেদ আলমের মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি তদন্ত শেষে আইনানুনগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads