• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মনোহরগঞ্জে বিক্রিত সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

মনোহরগঞ্জে বিক্রিত সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

  • কুদরত উল্যাহ, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
  • প্রকাশিত ২১ জানুয়ারি ২০২০

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১নং বাইশগাঁও ইউপির জেল নং ৪১৪ মান্দারগাঁও মৌজায় ১০৮ নং বি এস চুড়ান্ত যৌথ খতিয়ান ভুক্ত ১ একর ৫৪ ডিং ভূমি। অভিযোগকারী হোসনেয়ারা বেগম ও স্থানীয় সালিশ দার সূত্রে জানা যায়, হিস্যা মোতাবেক অত্র খতিয়ানের মালিকানা দাবি করেন এবং বি এস খতিয়ানে উল্লেখিত আমিন উল্লা, (২৮ডিং) আব্দুল আজিজ, (২৮ডিং) হাফেজ উল্লা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গত ০৫/০১/২০২০ ইং তারিখে মনোহরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১০৮ নং খতিয়ানের মালিক মোকসুদা খাতুন, (১৪ডিং) ভূমির মধ্যে ১৩ সমস্ত ১শত ভাগের ৩৬ডিং ভূমি অত্র খতিয়ানের মালিক হাফেজ উল্লাকে হেবা করিয়া হেবা ঘোষণা করেন। তাই বর্তমান বি.এস চুড়ান্ত ১০৮ নং খতিয়ানে হাফেজ উল্লার হিস্যা অংশ(৪১ )ডিং। মোকসুদা খাতুন, (১৪ডিং) জোবেদা খাতুন, (১৪ডিং) লতিফা খাতুন, (১৪ডিং) রহিমা খাতুন, (১৪ডিং) মার্জিয়া খাতুন, (১৪ডিং) এই নিয়ে ১৫৪ ডিং ভূমির পিং আরব উল্লা লোকান্তর হইলে তৎ লোকান্তরে অত্র খতিয়ানের মালিক হাফেজ উল্লা, বি এস ১০৮ নং খতিয়ান থেকে ৫৭৮ নং দাগে (১২ডিং) এবং ৪৬৮ নং দাগে (৩ডিং) এই নিয়ে ১৫ ডিং ভূমি।০৮/১০/২০১৭ইং তারিখে দলিল নং ৪৭৪৫ মূলে মনোহরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১২ ডিং এবং ২১/০৭/২০০৮ইং তারিখে দলিল নং ১১১৮৬ মূলে লাকসাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে (৩ডিং) সহ অত্র খতিয়ানে মালিক দখলকার থাকিয়া হোসনোয়ারা বেগমের কাছে উক্ত সম্পত্তি আপোস বন্টন চিহ্নত করিয়া বিক্রয় করেন। খরিদ কৃত ১৫ডিং সম্পত্তি নিরাপত্তা জনিত কারনে হোসনেয়ারা বেগম নামজারি জমা খারিজ মামলা নং ৫৯৩-১৮/১৯ ও ৩০৬ নং খতিয়ান সৃষ্টি করিয়া হোসনেয়ারা বেগম মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে এবং মান্দাগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে রেকর্ড ভুক্ত করেন। এবং সম্প্রতি জানা যায়, হোসনেয়ারা বেগম পারিবারিক আর্থিক অসুবিধার কারনে অত্র ৩০৬ নং খারিজ খতিয়ান থেকে উক্ত সম্পত্তি মনোহরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে খারিজ মূলে বিক্রয় করেন। কিন্তু অত্র ১০৮ নং বি.এস খতিয়ানের মালিক লতিফা খাতুন হিস্যা ১৪ ডিং সম্পত্তি থেকে মনোহরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৫৭৮ নং দাগে বিক্রিত সম্পত্তি উপরে আবারো ১৩/১১/২০১৮ইং তারিখে ৫০২৩ নং হেবা দলিল করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই দলিল লতিফা খাতুন তার পুত্র সন্তান সিরাজুল ইসলাম এবং ইব্রাহিম খলিলকে দান পত্র রেজিস্ট্রি করেন। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রিার মোঃ সিরাজুল হক এবং(পূর্ববর্তী লতিফা খাতুনের দলিল কারী) সাবেক সাব- রেজিস্ট্রিার মোঃ ইয়াছিন আরাফাত তারা জানান, প্রত্যেকটা দলিলের শেষের পাতায় বর্ণিত থাকে যে, যিনি দলিল দাতা তিনি মহামান্য রাষ্টপতির ১৯৭২ সনের ১৪২ নং আদেশ ১৯০৮ সনের রেজিস্ট্রেশন আইনের section52a(g) এবং ১৮৮২ সনের সম্পত্তি হস্তান্ত আইনের section 53E অনুসারে প্রদত্ত হলফনামা উল্লেখ করেন যে, বরাবর সাব-রেজিস্টার মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। দাতার নাম ঃ লতিফা খাতুন, স্বামীঃ শরিফ উল্যাহ পাটোয়ারী, পিতাঃ আরব উল্লা, সাং:৭ আয়নাতলী, উপজেলা: শাহরাস্তি, জেলা: চাঁদপুর। এই মর্মে ঘোষনাপূর্বক হলফনামা প্রদান করিতেছি যে, আমি/আমরা দলিলে বর্ণিত সম্পত্তির নিরঙ্কুশ মালিক অন্য কোন পক্ষের সহিত এই সম্পত্তির কোন বায়না চুক্তি স্বাক্ষর হয় নাই বা অন্য কোথাও হস্তান্তর হয় নাই। বা অন্য কোন পক্ষের নিকট বন্ধক রাখা হয় নাই। দলিলে বর্ণিত সম্পত্তিতে আমার/আমাদের বৈধ স্বত্ব ও অধিকার বহাল আছে এবং প্রদত্ত বিবরন আমার/আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সত্য। তাই এই হলফনামায় উল্লেখিত বিবরণে বুঝা যায় যে, এই দলিলের আগে যদি কোন দলিল হইয়া থাকে তাহলে যে, দলিল আগে রেজিস্ট্রি হয়েছে সেই দলিলের মালিকানা বৈধ। এমনটাই জানান মনোহরগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ও সাবেক সাব-রেজিস্ট্রিারগন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads