• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কুতুবদিয়ায় ছাত্র বলাৎকার: আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লালাসহ আটক ২

ফাইল ছবি

অপরাধ

কুতুবদিয়ায় ছাত্র বলাৎকার: আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লালাসহ আটক ২

  • চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২০

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম লালা (৪৮) ও তার সহযোগী নওশাদ (২২) আটক করেছে পুলিশ।

আটকৃত শহিদুল ইসলাম আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে ও নওশাদ কৈয়ারবিল গ্রামের আবদুল মাবুদের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এই দুইজনকে আটক করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। বলৎকারের শিকার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পাড়া ছাত্রকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভিকটিম ছাত্রের মা বাদী হয়ে ২৪ জানুয়ারী সকালে কুতুবদিয়ায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। যার মামলা নং ১৩। মামলার পর আজ  শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।

কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদ গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রকে নানান প্রলোভনে ফেলে উপজেলা গেইটস্থ তার দোকানের পিছনের কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে দফায় দফায় বলাৎকার করে। পরে তারা ছাত্রকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্র ব্যথার যন্ত্রনায় কান্নাকাটি শুরু করলে সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিন সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় বাসায় গিয়ে ওই ছাত্র তার পরিবারের কাছে আওয়ামী লীগ নেতার ‘নোংরা কর্মকান্ড’ খুলে বলার পর তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা একজোট হয়ে উপজেলা গেইটে এসে ওই নেতাকে দোকানে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে রাতেই আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে ভিটটিম ছাত্রের মা বাদী হয়ে আটক দুই জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি এজাহার দিলে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। আর ওই মামলায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেন।

কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান, বলাৎকারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ অপর একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভিকটিম ছাত্রের মা। ভিকটিম ছাত্রকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads