রংপুরের মিঠাপুকুরে ৫২ দিন বয়সী এক কন্যা শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগে মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে গোপালপুর ইউনিয়নে গোপিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর খালেদা বেগম নামে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্বামী সুলতান মাহমুদ।
মিঠাপুকুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মা খালেদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার আরও দুই মেয়ে আছে। তাদের একজনের বয়স ১৩ বছর। আরেজনের ৬ বছর। আবারও তাদের মেয়ে হওয়ায় সংসারে অশান্তি লেগেই আছে।
প্রতিবেশিরা জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে খালেদা কান্নাকাটি শুরু করেন। বাড়ির লোকজনকে বলেন, তার ছোট সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না। কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশিরা বাড়ির আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর লাশ দেখতে পায়। পরে শিশুর লাশ বাড়িতে নিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
স্হানীয়রা বলছেন, পরপর ৩ জনই মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় সুলতানের পরিবারে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। তাই শিশুটিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলীপ পাইকাড় বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘটনাটি শুনেছি।বিষয়টার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।
