• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক

  • তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার নাম করে হাবিবুর রহমান নামের এক প্রতারক লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই হাবিবুর রহমান (হাবিব) তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের মৃত.বাবর আলীর ছেলে।

প্রতারণায় খপ্পরে পরেছে একই গ্রামের মৃত.মাহমুদ সরকার এর ছেলে বাহাদুর সরকার ও মৃত. তয়োব আলীর ছেলে গফুর মোল্লা। প্রতারক হাবিবুর রহমানের নামে গ্রামের প্রধানদের কাছে মৌখিক ভাবে বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগীগণ। এ ছাড়াও অভিযুক্ত ওই হাবিবুর রহমান (হাবিব) এর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা চলমান রয়েছে। মামলাটি করেছে একই উপজেলার তাড়াশ সদরের মাদ্রাসা পাড়ার আবুল বাসার নামের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ উঠেছে, হাবিবুর রহমান সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী বাহাদুর সরকারের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দাবি করে। পরে প্রথম পর্যায়ে ৪০ হাজার টাকা নেন ওই প্রতারক হাবিব। অপরদিকে গফুর মোল্লার কাছ থেকে একই ভাবে প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নগদ ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সনদ না পেলে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই হাবিবের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর কাছে বিচার চান তারা।

প্রতারণায় স্বীকার হওয়া বাহাদুর সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছি। তবে মুক্তিযোদ্ধার কোন সনদ পাইনি। সনদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা দাবি করে ৪০ হাজার টাকা নেয় আর বাকী টাকা সনদ দেওয়ার পরে নিবে। সে বলে তার নিজের লোক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আছে। অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও কোন সনদ না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে । আমি টাকা ফেরত চাইলে সে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। বাধ্য হয়ে গ্রাম প্রধানদের নিকট বিচার চেয়েছি। অপর দিকে উপজেলার তাড়াশ সদরের মাদ্রাসা পাড়ার মৃত.নুরুল ইসলাম ছেলে আবুল বাসার বলেন, হাবিবুর রহমান জমির মামলার ডিগ্রী পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৩ টি নন জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে সাক্ষর দিয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। হাবিুবর রহমান আরো বলেন আমার ভায়রা জজ এ কাজ করা আমার জন্য কোন ব্যাপার নয়। আমি মামলাটির রায় পাইয়ে দিতে পারবো। টাকা দিয়েও কোন কাজ না হলে টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়েই আমি আদালতে মামলা করেছি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল। বর্তমানে জামিনে এসে আমাক সহ মামলার সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে।

বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেওয়ার কথা বলে বাহাদুর সরকারের কাছ থেকে হাবিবুর রহমান ৪০ হাজার ও গফুর মোল্লার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা প্রতারণা করে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে মৌখিক ভাবে বিচার চেয়েছেন।

অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান (হাবিব) এর যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগসমূহ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মাত্র।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads