• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিন ডাকাত নিহত

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিন ডাকাত নিহত

  • টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০২০

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিনজন নিহত হয়েছে।

বুধবার ভোরে রঙ্গীখালী পাহাড়ি আস্তানায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবী, নিহতরা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত । তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ টি ছোট বড় অস্ত্র, ২’শ রাউন্ড গুলি ও ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা। এ ঘটনায় পাচঁ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

নিহতরা হচ্ছে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে ভুলাইয়্যা বইদ্যের পুত্র নুরুল আলম (৪০) ও ছৈয়দ আলম (৩৫) এবং শব্বির আহমদের পুত্র আব্দুল মোনাফ (২০)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ত্রাসী জনপদ, অবৈধ অস্ত্র তৈরীর কারখানা, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কেন্দ্রস্থল হিসেবে চিহ্নিত ছিল টেকনাফের রঙ্গিখালী গাজী পাহাড়। ওই পাহাড় ঘিরেই চলতো নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড। আর এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতো নুরুল আলম গ্রুপ। এখানেই হানা দেয় পুলিশ। বেশ সফলও হন। বুধবার  টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম পাহাড়ের কয়েকদিক দিয়ে আক্রমণ শুরু করে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ নেতৃত্বে ও এসআই মশিউর রহমানসহ টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ অভিযানে গেলে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য কওে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের ইন্সপেক্টর লিয়াতক,মশিউর রহমান, সনজিব দত্ত, সৈকত বড়ুয়াসহ ৫জন সদস্য আহত হয়। তখন পুলিশ কৌশলী অবস্থান নিয়ে শক্তি সঞ্চয়ের পর পাল্টা গুলিবর্ষণ করে হামলা চালালে স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। তখন পুলিশ অস্ত্র তৈরীর কারখানায় তল্লাশী করে ১৮টি দেশী-বিদেশী অবৈধ অস্ত্র, ২শ রাউন্ড গুলি, ৫৫ হাজার ইয়াবাসহ রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে ভুলাইয়্যা বইদ্যের পুত্র নুরুল আলম (৪০), ছৈয়দ আলম (৩৫) ও শব্বির আহমদের পুত্র আব্দুল মোনাফ (২০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।

পরে আহত পুলিশ সদস্য এবং উদ্ধারকৃত সন্ত্রাসীদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া অপরাধ ও মাদক নির্মূলে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। ’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads