• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : সংগৃহীত

অর্থ ও বাণিজ্য

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বীমা উন্নয়ন

৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল ২০১৮

বিদ্যুৎ সঞ্চালন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের একটি প্রকল্পে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বীমা খাতের উন্নয়নে অপর প্রকল্পে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে সংস্থাটি। দুই খাতে মোট ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণসহায়তার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান দুটি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তির আওতায় মোট ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা পাবে সরকার।

অনুষ্ঠানে চিমিয়াও ফান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করা বিশ্বব্যাংকের অন্যতম অগ্রাধিকার।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বীমা খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিপুল জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও মাত্র এক শতাংশ মানুষ বর্তমানে বীমা সুবিধার আওতায় আছে। বীমা খাত উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বীমা খাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়বে, বীমা কভারেজ বাড়বে।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম বলেন, বাংলাদেশের জন্য দুটি প্রকল্পই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সঞ্চালন লাইন না বাড়ালে এর সুফল পাওয়া যাবে না। আর বীমা খাত সম্ভাবনার নতুন একটি খাত। ব্যবসা উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি করতে হলে এই খাতে উন্নতি করতে হবে। আরো ইতিবাচক দিক হচ্ছে দুটি প্রকল্পেই মোটামুটি সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।  

অনুষ্ঠানে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) প্রধান প্রকৌশলী প্রণব কুমার রায় বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মাস্টারপ্ল্যান নেওয়া হয়েছে। সেই প্ল্যান অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশব্যাপী ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের পূর্বাঞ্চল তথা কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কাঠামো পুরনো এবং সঞ্চালন ক্ষমতাও সীমিত। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই অঞ্চলে গ্রিড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী হবে। এর ফলে চট্টগ্রামে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও ব্যাপক শিল্পায়নের জন্য ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে পিজিসিবি।

প্রকল্পটির জন্য বিশ্বব্যাংকের স্কেলআপ ফ্যাসিলিটি (এসইউএফ) তহবিল থেকে প্রায় ৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা ঋণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই তহবিল থেকে দেওয়া ঋণসহায়তার জন্য কিছুটা চড়া সুদ দিতে হয়। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৫ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর পিজিসিবি নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ৪৭৮ কোটি টাকা।

অপরদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় নেওয়া বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ পাওয়া যাচ্ছে সহজ শর্তে। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ তহবিল থেকে পাওয়া এ ঋণের জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই ঋণ পরিশোধে ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছর সময় পাওয়া যাবে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্র মালিকানাধীন বীমা করপোরেশন ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads