• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অর্থ ও বাণিজ্য

আসন্ন বাজেটে কর সুবিধা পাবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

দেশীয় শিল্প বিকাশে আগামী বাজেটে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে অনেকেই শিল্প স্থাপনের দিকে আসতে চাইছেন। অতীতে কয়েকটি খাতে উৎপাদনপর্যায়ে সুবিধা দেওয়ায় উৎপাদন ও রফতানি বেড়েছে। আমরা আরো কিছু খাতে সুবিধা দিতে চাই যাতে উৎপাদনের পাশাপাশি রফতানিও বাড়ে। এ জন্য এবার ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে সুবিধা দিয়ে বাজেট তৈরি করা হবে।’

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশীয় শিল্প সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এবার নজর দেওয়া হবে। বিদেশ থেকে নিম্নমানের পণ্য এনে বাজার সয়লাব করা বন্ধ করতে হবে। তবে পুরোপুরি আমদানি বন্ধ করা যাবে না। কর সুবিধার মাধ্যমে আমরা দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দিতে চাই।’

করপোরেট করহার কমানোর ইঙ্গিত করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এবারের বাজেট আলোচনায় অনেকেই করপোরেট করহার কমানোর কথা বলছেন। তাদের দাবি, আমরা এ ক্ষেত্রে উদার হলে রাজস্ব আয় বাড়বে, পাশাপাশি কর ফাঁকিও কমে আসবে। এগুলোর একটা সমন্বয় আমরা করব। এ নিয়ে আমরা কিছু চিন্তাভাবনা করেছি। সেভাবে এগিয়ে যাব।’

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হবে- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আহরণে এত ঘাটতি থাকবে না। এনবিআরের ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তাতে সংশোধন আনতে হবে ঠিক। বাজেটও প্রতিবছর সংশোধন করা হয়। তবে ৯ মাসের রাজস্ব আয়ের যে গতি, তাতে আমরা বলতে পারি, ওই বক্তব্য অনুযায়ী ৫০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকবে না। ঘাটতি যেটা থাকবে সেটা এর তুলনায় কম।’

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মো. রুহল আলম আল মাহবুব বলেন, এখন আমাদের মোবাইল ফোনে উৎপাদনমুখী হওয়ার সময় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কাঁচামাল আমদানির ওপর বিভিন্ন পর্যায়ে ১ থেকে ১০ শতাংশ হারে বিদ্যমান শুল্ক প্রধান বাধা। এই শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে।

এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে আমরা উৎসাহিত করছি। যারা উৎপাদনমুখী হবে আমরা নীতিমালা করে তাদের সুবিধা দেব।

ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য করতে ভ্যাট আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আগামী ৫ বছরের জন্য কর অব্যাহতি সার্টিফিকেট প্রদানের প্রস্তাব করেন।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ খাতের ২৪টি সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads