• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : সংগৃহীত

অর্থ ও বাণিজ্য

চুক্তি অনুযায়ী গ্রানাইট শিলা উত্তোলন হয়নি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৮

গ্রানাইট উত্তোলনে জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) ও দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) মধ্যে চুক্তি হয় ২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। চুক্তিতে বলা হয়েছিল ছয় বছরে ৯২ লাখ টন গ্রানাইট শিলা উত্তোলন করবে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে চুক্তিকালীন সময়ের চার বছর অতিবাহিত হয়েছে। এ সময় ৫৬ লাখ টন গ্রানাইট শিলা উত্তোলনের কথা থাকলেও গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তোলন হয়েছে মাত্র ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

গত ৪ এপ্রিল পেট্রোবাংলা পরিচালনা বোর্ডের ৪৯৯তম সভায় বিষয়টি আলচিত হয়েছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের এ খনি থেকে ১৯৯৪ সালে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন গ্রানাইট শিলা উত্তোলনের লক্ষ্যে পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি হয় কোরিয়া সাউথ সাউথ কো-অপারেশন করপোরেশনের (নাম নাম) সঙ্গে। টার্ন কী পদ্ধতিতে এর চুক্তিমূল্য ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে সরবরাহ ঋণের পরিমাণ ১২ কোটি ৬ লাখ ডলার। চুক্তি অনুযায়ী ২০০১ সালে এ খনি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। তা সম্ভব না হওয়ায় ২০০৭ সালে শর্তসাপেক্ষে এবং ২০১০ সালে চূড়ান্তভাবে খনি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করে এমজিএমসিএল। পরে এমজিএমসিএলের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভূ-গর্ভস্থ খনি থেকে এক শিফটে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার টন শিলা উত্তোলন হচ্ছিল। কিন্তু উত্তোলিত এ শিলা বিক্রি করে কোম্পানির সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে গ্রানাইট শিলা উৎপাদনের জন্য ২০১৩ সালে জিটিসির সঙ্গে এমজিএমসিএলের চুক্তি হয়। জিটিসিও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গ্রানাইট উত্তোলন করতে পারছে না।

অথচ খনি উন্নয়ন ও গ্রানাইট উত্তোলনে নাম নাম ব্যর্থ হলেও এমজিএমসিএলকে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের কিস্তি বাবদ প্রতিবছর প্রায় ৬০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হ”েছ। এমজিএমসিএলকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ৬০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে পেট্রোবাংলা ও সরকারি খাত থেকে নেয়া ঋণ। ইতোমধ্যে অগ্রিম দুই কিস্তি ও ষষ্ঠ থেকে ১৯তম কিস্তির অর্স (সুদসহ)  মোট ৪১৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেতে হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads