• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
জলবায়ু সহনশীলতায় বিশ্বব্যাংকের ঋণ

ইন্টারনেট

অর্থ ও বাণিজ্য

জলবায়ু সহনশীলতায় বিশ্বব্যাংকের ঋণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ মে ২০১৮

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জলবায়ু সহনীয় করতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এজন্য ১১ কোটি মার্কিন ডলার বা ৯১৩ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)’ বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এ সময় বক্তব্য দেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুুল করিম।

চুক্তি শেষে ইআরডির সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, চলতি অর্থবছর আশা করছি ১০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে গত বছরের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেশি অর্থছাড় হয়েছে।

তিনি বলেন, রফতানির তুলনায় আমদানি অনেক বেড়েছে। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলা সক্ষম করে তোলা হবে।

চিমিয়াও ফান বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন। এজন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় পিকেএসএফ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ করছে। দেশের কুটির শিল্প জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে হুমকিতে আছে। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

আবদুল করিম বলেন, পিকেএসএফের সব প্রকল্পই সঠিক সময়ে এবং নির্দিষ্ট বরাদ্দের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। ইফাদের অর্থায়নের একটি প্রকল্প সম্প্রতি ইউএস ট্রেজারি কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে। পিকেএসএফ সবসময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। যেকোনো ধরনের দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৭৭টি এনজিওর ৯ হাজার শাখার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এটি প্রচলিত ঋণের মতো হবে না।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি আগামী জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। তার মধ্যে বিশ্বব্যাংক আইডিএ ঋণ দেবে ৯১৩ কোটি টাকা। বাকি ১৬৬ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে পিকেএসএফ। এ ঋণের সার্ভিস চার্জ বছরে মাত্র শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ৬ বছরের রেয়াতকাল পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণে প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পিকেএসএফের অর্থায়নে ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads