চট্টগ্রাম বন্দর পুরোপুরি সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। পণ্য পরিবহনে সেখানে যাতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি হতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে বলেছে কমিটি।
দশম জাতীয় সংসদের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কার্যক্রম ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উইন্ড পাওয়ারকে ব্যবহার করা যায় কি না তা পর্যালোচনা করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বন্দরে গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম যেন নির্বাচনকালীন সময়ে পুরোদমে চলমান থাকে সে বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এনসিটি ইকুপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫১টি ইকুপমেন্টের মধ্যে সম্প্রতি রেল মাউন্টেন্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ ১০টি হ্যান্ডলিং ইকুপমেন্ট সংগৃহীত হয়েছে তাছাড়া ভোজ্যতেল খালাস করার জন্য নির্মিত হয়েছে নতুন জেটি ডলফিন অয়েল জেটি-৩ যার ফলে চবক-এর সার্বিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০২৫ সালের প্রক্ষেপণকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের গৃহীত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ওভারফ্লো কন্টেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড এবং পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে, লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ২০২১ সালের মধ্যে, বে-টার্মিনাল ফেইজ-১ ২০২৩ সালের মধ্যে এবং মাতারবাড়ি পোর্টের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
কমিটি সদস্য মো. আবদুল হাই, মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. হাবিবর রহমান, এম আবদুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
