• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

আনন্দ বিনোদন

শিক্ষিত তরুণ-তরুণী জরুরি

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০১৮

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে টিকিয়ে রাখা ও তার উন্নয়নে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন শিল্পী সমাজের আলোচিত জুটি ওমর সানী ও মৌসুমী দম্পতি। তারা বলছেন, চলচ্চিত্র শুধু সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন নয়, একটা জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করে এই চলচ্চিত্র। তাই এই শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষিত সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে হবে। তাদের মাধ্যমেই আগামীর চলচ্চিত্র উচ্চ আসনে রূপ নেবে।

রোববার রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগের অধীনে পরিচালিত অভিনয় কোর্সের সার্টিফিকেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান, কোষাধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্লাহ, কোর্স ডিরেক্টর ও চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু, ড. আফজাল হোসেন খান, নাট্যকার আনন জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিল্পীদের অধিক সচেতন হতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।

চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের নানা দেশ চলচ্চিত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সেটা মাথায় রেখেই দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেকেই ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকায় অনেকেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না। আমরা চাই, যারা অভিনয় জগতে প্রবেশ করতে চান, তাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া। 

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগৎকে আরো শাণিত করবে। এ কোর্স পরিচালনার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চ্চার আরো প্রসার ঘটবে বলেও তিনি মনে করেন।

আয়োজকরা জানান, মিডিয়ায় প্রতিভাবান অভিনেতা উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই এ কোর্সের আয়োজন। এর মাধ্যমে নতুনদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ৭টি কোর্স তথা ‘বেসিক জার্নালিজম, ব্রডকাস্ট জার্নালিজম, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, অ্যানিমেশন, সংবাদ পাঠ ও রেডিও জকির ওপর তিন মাসব্যাপী কোর্স চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপন ও গণমাধ্যমের নানা দিক উন্নয়নের কথা ভেবে দক্ষ বাংলাদেশে প্রথম ২০০৩ সালে ফিল্ম-টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। দেশবরেণ্য নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুন এ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads