একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সবার আলোচনা ও আগ্রহ ছিল নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে। গত ৬ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সাংসদ কে এম খালিদ, যিনি বরেণ্য অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদের আপন ছোট ভাই। ছোট ভাইয়ের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং দুবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে পরিবারের বড় ভাই মাহমুদ সাজ্জাদের ভূমিকা ছিল অনেক। ছোট ভাইকে প্রতি মুহূর্তে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা দেওয়া এবং তার নির্বাচনী প্রচারণায় দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করার ফল হিসেবে আজ ছোট ভাইকে দেশের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে মন্ত্রী হিসেবে দেখছেন মাহমুদ সাজ্জাদ। তাই ছোট ভাইয়ের মন্ত্রী হওয়া নিয়ে মাহমুদ সাজ্জাদ যেমন গর্বিত, ঠিক তেমনি অনেক বেশি আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত।
কে এম খালিদ এর আগেও ময়মনসিংহ-৫ আসনের সাংসদ ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে তার ভাই মাহমুদ সাজ্জাদসহ কথা হয় তার সঙ্গে। সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে তার জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সঙ্গে আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি যেন সেই আস্থার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রাখতে পারি এটাই হবে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে যা বাস্তবায়নে আমার আন্তরিক চেষ্টা থাকবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য আমি নিবেদিত হয়ে কাজ করতে চাই। মাত্র তো মন্ত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু হলো, এরই মধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ শুরু করব ইনশাল্লাহ।’
ছোট ভাই সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে মাহমুদ সাজ্জাদ তার আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি চাই খালিদ তার মেধা দিয়ে, তার কাজ দিয়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে এমন কিছু করুক তা যেন পুরো সংস্কৃতি অঙ্গনে ঝড় তুলতে পারে। সবাই যেন জানতে পারে, অনুধাবন করতে পারে নতুন সংস্কৃতিমন্ত্রী কিছু একটা করছে। এটা সত্যি যে, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। সেই পিছিয়ে পড়া সংস্কৃতি অঙ্গনকে যেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে খালিদ এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
