সিঁথি সাহা, ঝিলিক ও কর্ণিয়া এই সময়ের শ্রোতাপ্রিয় তিন কণ্ঠশিল্পী। তিনজনই তাদের নিজ নিজ গায়কী দিয়ে নিজেদের গান দিয়ে শ্রোতা দর্শকের মধ্যে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছেন। আবার চলার পথে তিনজনেরই একের সঙ্গে অন্যের সুসম্পর্ক রয়েছে। এই সময়ের শ্রোতাপ্রিয় এই তিন কণ্ঠশিল্পী স্টেজ শো নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে ঝিলিক ও কর্ণিয়ার তুলনায় সিঁথি সাহাকে একটু কমই স্টেজ শোতে দেখা যায়। অবশ্য এ বিষয়ে সিঁথির নিজস্ব ব্যাখ্যাও আছে। ২০০৮ সালে দুই বাংলার প্রতিযোগীদের নিয়ে সঙ্গীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’য় অংশগ্রহণ করেছিলেন সিঁথি সাহা। এই রিয়েলিটি শো’র মধ্য দিয়েই পেশাগতভাবে সঙ্গীতাঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন সিঁথি সাহা। অন্যদিকে ঝিলিক চ্যানেল আই আয়োজিত সেরাকণ্ঠ এবং কর্ণিয়া বন্ধ হতে যাওয়া চ্যানেল ‘চ্যানেল নাইন’ আয়োজিত রিয়েলিট শো পাওয়ার ভয়েজ’র মধ্য দিয়ে পেশাগতভাবে সঙ্গীতাঙ্গনে সম্পৃক্ত হন। এই তিনজনকেই এখন বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতা দর্শকরা ভীষণ ভালোবাসেন। তারাও তাদের গায়কী দিয়ে প্রতিনিয়তই মুগ্ধ করে যাচ্ছেন শ্রোতা দর্শককে।
ঝিলিক ও কর্ণিয়া প্রসঙ্গে সিঁথি সাহা বলেন, দু’জনই খুব ভালো গান গায়। তবে দু’জনের কারো সঙ্গেই একই মঞ্চে আমার গান গাওয়া হয়ে ওঠেনি। হয়তো কোনো এক সময় ব্যাটে বলে মিলে গেলে স্টেজ শো করা হবে। আমরা আমাদের গান দিয়ে প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে।
ঝিলিক বলেন, ‘সিঁথির সঙ্গে কখনো স্টেজ শো করা হয়ে ওঠেনি। তবে কর্ণিয়ার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছি। সবাই সবার মতো ভালো গায়। দু’জনের সঙ্গেই আমার খুব চমৎকার সম্পর্ক। আমরা সবাই আমাদের অবস্থানে থেকে আমাদের গান দিয়ে আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে আরো আলোকিত করার চেষ্টা করছি।’ কর্ণিয়া বলেন, ‘সিঁথি ও ঝিলিক, দু’জনেরই কণ্ঠ ভীষণ মিষ্টি। তবে সিঁথির সাথে স্টেজ শো করা হয়ে ওঠেনি। ঝিলিকের সঙ্গে বেশকিছু স্টেজ শো’তে অংশ নিয়েছি। সত্যি বলতে কী, চলার পথে তো আমরা একই অঙ্গনের। তাই আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে এটা সত্যি, কিন্তু সুন্দর সম্পর্কটাই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
