অভিনেতা টেলি সামাদকে পৈতৃক ভিটা মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁওয়ে দাফন করা হবে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আমৃত্যু এই অভিনেতা ঢাকার নয়াবাজারে বসবাস করেছেন। পরিবার সূত্র জানায়, পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ রোববার মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁওয়ের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে প্রয়াত অভিনেতার মরদেহ। এর আগে রাজধানীর রাজাবাজারে একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিএফডিসিতেও মরদেহ নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
হূদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন টেলি সামাদ। চার দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদ গতকাল শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসক প্রতীক দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।
প্রতীক জানান, গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় টেলি সামাদকে।
তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। টেলি সামাদ দুই মেয়ে ও দুই ছেলের জনক। মেয়ে— কাকলি ও বিন্দু, ছেলে— সুমন ও দিগন্ত। এর মধ্যে বড় ছেলে সুমন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
টেলি সামাদের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে। তার আসল নাম আবদুস সামাদ হলেও সিনেমায় এসে হয়ে যান টেলি সামাদ। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সঙ্গীতেও পারদর্শী ছিলেন এই গুণী অভিনেতা। ‘মনা পাগলা’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি।
নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ১৯৭৩ সালের দিকে ‘কার বৌ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে যে ছবিটির মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন সেটি হলো ‘পায়ে চলার পথ’।
তিনি অভিনয়ের বাইরে ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে গানও গেয়েছেন। অভিনয় করেছেন ছয় শতাধিক চলচ্চিত্রে। যদিও এই অভিনেতার আজীবন আক্ষেপ ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না পাওয়া নিয়ে। ২০১৫ সালে টেলি সামাদ অভিনীত সর্বশেষ ছবি মুক্তি পায় অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রি’।