• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আধুনিক পদ্ধতি রিবন রেটিংয়ে পাট জাগ দিলে লাভ বেশি

বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদনে আরো অতিরিক্ত ৬০০ টাকা করে খরচ বেশি হচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

আধুনিক পদ্ধতি রিবন রেটিংয়ে পাট জাগ দিলে লাভ বেশি

  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মো. মনিরুল ইসলাম মনির, মেহেরপুর 

মেহেরপুরে দিন দিন কমছে পাটের আবাদ। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ভাড়া করে পাট জাগ দিতে হয়। স্বল্প জায়গায় অল্প পানিতে পাট পচানোর আধুনিক পদ্ধতি রিবন রেটিং উপযুক্ত হলেও কার্যকর উদ্যোগের অভাবে তা আলোর মুখ দেখছে না। বাড়তি টাকা খরচ করে শ্যালো ইঞ্জিনের সাহায্যে পানি জমিয়ে পাট জাগ দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন কৃষকরা।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২০ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা থেকে ৭৬ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা শ্যালো ইঞ্জিনের সাহায্যে পানি দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদনে আরো অতিরিক্ত ৬০০ টাকা করে খরচ বেশি হচ্ছে। তবে খরচ বেশি হলেও পাটের গুণগত মান ভালো হচ্ছে। বিঘাপ্রতি জমিতে পাটচাষে খরচ হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদন হচ্ছে ৮ থেকে ১০ মণ। প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬শ টাকা দরে। সে হিসাবে এক বিঘা জমির পাট বিক্রি করে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘরে আসছে চাষির। জমা থাকছে পাটখড়ি। সামনে শীত মৌসুমে তামাক পাতা শুকাতে জেলায় পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকায় তখন উচ্চমূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এক বিঘা জমির পাটখড়ি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হলেও তামাকের মৌসুমে সেই পাটখড়ি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। সেই সঙ্গে এবার পাটচাষে লাভের অঙ্কটাও দ্বিগুণ হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।  সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের পাট ব্যবসায়ী হেকমত বলেন, এ বছর বাজারে পাটের চাহিদা থাকায় আমরা কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাটই কিনে নিচ্ছি। এতে চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, আমাদেরও ভালো ব্যবসা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, কাদামাটি ও কলাগাছ দিয়ে নয়, পলিথিনের ওপর কংক্রিট বসিয়ে পাট জাগ দেওয়া অথবা রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট উৎপাদনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে পাটের দাম বেশি পাবেন কৃষক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads