• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রম

নিয়মিত হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপ কমে

ছবি : ইন্টারনেট

ফিচার

প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রম

  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আপনি আলস্যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিন কাটাবেন, নাকি শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলবেন— পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে আপনার ইচ্ছাশক্তির ওপর। লেখাটি পড়ুন আর ভেবে নিন শারীরিক পরিশ্রম কেন এবং কতটুকু জরুরি... ফয়জুন্নেসা মণি

বিজ্ঞানীরা বলেন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম খাদ্য ও যৌনতার মতোই একটি শারীরিক চাহিদা; ডোপামিনের নিঃসরণ এগুলোর প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ তৈরি করে। অথচ নানা অজুহাতে অনেকেই শারীরিক পরিশ্রমে আগ্রহী হন না। এর পেছনে জিনগত প্রভাবই বিদ্যমান। ১০ বছর ধরে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৪০০ লোকের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পরিশ্রম করলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। কারণ রক্তের কোষ অণুচক্রিকার কাজ বেড়ে গেলে, রক্তের ফাইব্রিনোজেন ও ফ্যাক্টর-৮ বেড়ে গেলে কিংবা রক্তের প্রোটিন-সি, প্রোটিন-এস ও ফ্যাক্টর-৫ কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের আশংকা বেড়ে যায়। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম খুবই প্রয়োজন। সার্কুলেশন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪০ থেকে ৫০ বছরে কায়িক পরিশ্রম বাড়ানো উচিত। এ বয়সীদের ভারী ও অধিক সময় কাজ না করার প্রতিও জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা শারীরিক কর্মকাণ্ডে তৎপর থাকা উচিত।  

ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরের যে দলটিকে পরিশ্রমের মধ্যে রাখা হয়, তাদের অপত্যরাও পরিশ্রমী হয়ে ওঠে। এমনকি দশ প্রজন্ম পরে পরিশ্রমী দলটির সন্তানরা অলস দলের সন্তানদের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি পরিশ্রম করতে সমর্থ। ষোলো প্রজন্ম পর দেখা যায় পরিশ্রমীদের অপত্যরা দিনে ৭ মাইল হাঁটতে পারে; আর অলস দলের অপত্যরা গড়ে চার মাইল।

ব্যায়াম বা স্বাভাবিক কাজকর্মের মতো নিয়মিত হাঁটাচলা একটি স্বাভাবিক ও সহজ ব্যায়াম। শহুরে জীবনে আমরা সামান্য একটু পথও হাঁটতে রাজি নই। অথচ যানবাহনে অথবা যানবাহনের অপেক্ষায় কাটিয়ে দিই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়। মেডিকেল সায়েন্স বলছে, নিয়মিত হাঁটলে ক) উচ্চ রক্তচাপ কমে, খ) হার্ট অ্যাটাকের আশংকা কমে, গ) চর্বি কমে, ঘ) হাড় শক্ত হয়, ঙ) শরীরের এনার্জি বাড়ে, চ) স্টেমিনা বাড়ে।

তবে জেনে রাখুন, ভারী খাবার খেয়ে হাঁটবেন না। হাঁটার আগে ও পরে প্রয়োজনমতো পানি পান করুন। দৈনন্দিন কাজকর্মে শারীরিক পরিশ্রম সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। পরিশ্রম এমনভাবে করার চেষ্টা করুন, যাতে সেটা এক্সারসাইজও হয়। এর ফলে—

ক. হার্ট ভালো কাজ করে

খ. ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হয়

গ. ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে

ঘ. শরীরে চর্বি জমে না

ঙ. হাই ব্লাডপ্রেসার কমে

চ. কোলেস্টেরল কমে

ছ. অবসাদগ্রস্ততা হ্রাস পায়

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads