• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ইফতার ও সেহরিতে খাবারে সতর্কতা

ছবি : সংগৃহীত

ফিচার

ইফতার ও সেহরিতে খাবারে সতর্কতা

  • প্রকাশিত ১৬ মে ২০১৯


ডা. সজল আশফাক

 


ভাজাপোড়া খাবার সবার প্রিয়। কিন্তু এ-জাতীয় খাবার ইফতারে গ্রহণ করলে বিপদ। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব রমাদান ফাস্টিং রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণালব্ধ নিবন্ধ থেকে জানা যায়, ভাজাপোড়া খাবার, অতি মশলাযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণে অনেকেই রোজা রেখে অবশেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে রোজার পর এদের অধিকাংশই ক্রমে সুস্থ হয়ে ওঠেন। হঠাৎ একসঙ্গে এসব খাবার গ্রহণে বদহজম, বুকজ্বলা এবং ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়।
রোজা রাখার সময় যাতে অ্যাসিডিটি দেখা না দেয়, তা প্রতিরোধে আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ-জাতীয় খাবার পাকস্থলীর মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে পেটফাঁপা যেমন প্রতিরোধ করে, তেমনি খাবারগুলো ভেঙে ক্ষুদ্র অংশে পরিণত করে। ফলে খাবার সহজে হজম হয়ে যায়। অ্যাসিডিটি দেখা দেওয়ার প্রবণতাও হ্রাস পায়।
উল্লেখ্য, ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী ভাজা হয় পুরনো তেলে। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একই তেলে বারবার ভাজলে তাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসব রাসায়নিক পদার্থ ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত। একইভাবে ক্যানসার উদ্রেককারী আরেকটি উপাদান হচ্ছে রঙিন শরবতে ব্যবহূত কৃত্রিম রঙ। ইফতারের পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরে সারা দিনের পানিস্বল্পতা এবং শরীর দূষণমুক্ত রাখতে প্রচুর পানি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে এ নিবন্ধে। সেহরির পর অনেক চা পান করেন। এই নিবন্ধে গবেষকরা সেহরির পর চা পান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ভিন্ন এক কারণে। গবেষকরা বলছেন, চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে। এ পানিস্বল্পতা রোজাদারের জন্য কাম্য নয়। বরং সেহরির পর কলা খাওয়া যেতে পারে।
কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। তবে কলা কারো কারো ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে। সে ক্ষেত্রে সঙ্গে আঁশজাতীয় খাবার খেলে কোনো সমস্যা হয় না। রোজায় সুষম খাবার পরিমাণমতো গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকবে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। সুষম খাবার খেয়ে রোজা রেখে ইফতারের আগে হাত-পা সঞ্চালন জাতীয় হালকা ব্যায়াম এবং সময়মতো নামাজ আদায় করলে অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় আক্রান্তরা রোজা থেকে ওজন কমানোর সুযোগ পাবেন বলেও উল্লেখ রয়েছে এ নিবন্ধে। রোজার সময় গভীর নিদ্রার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই তারাবির পর ঘুমাতে যাওয়াই উত্তম।

লেখক : সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads