• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
স্বর্ণ-বৃত্তান্ত

ফাইল ছবি

ফিচার

স্বর্ণ-বৃত্তান্ত

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০১৯

সোনা এক ধরনের হলুদ বর্ণের ধাতু। অপরিবর্তনীয়  বৈশিষ্ট্য, চকচকে বর্ণ, বিনিময়ের সহজ মাধ্যম, কাঠামোর স্থায়িত্বের কারণে এটি অতি মূল্যবান ধাতু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। স্বর্ণ বা  সোনা মানুষের আবিষ্কৃত প্রাচীনতম মৌল বলা হয়ে থাকে। সোনা ব্যবহারের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে জানা যায়, নব্য প্রস্তর যুগেও  সোনার তৈরি দ্রব্যাদি ব্যবহার হতো। সে যুগের খননকৃত অনেক নিদর্শনে পাথরের সঙ্গে এগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দুভাবে পাওয়া যেতে পারে, শুদ্ধ সোনা হিসেবে বা অন্য কিছুর সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায়। সোনার যত বেশি গুণাগুণ প্রকাশ পেয়েছে, ততই ছড়িয়ে পড়েছে তার ব্যাপ্তি। সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রয়োগের ক্ষেত্রও বেড়েছে অনেকখানি। আর তাই নানামুখী গুণ, সৌন্দর্য আর রহস্যের আধার স্বর্ণের আবেদন এর আবিষ্কারের সময় থেকে আজ অবধি এতটুকুও কমেনি, বরং বেড়েছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ধাতুর নাম হচ্ছে ‘সোনা’। সেই সোনাই একদিন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে যাবে কি! সেদিন খুব বেশি দূরেও নয়। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বড় কোনো খনির সন্ধান না পাওয়ায় প্রায় তিন হাজার টনই বর্তমানে সর্বোচ্চ উৎপাদিত কয়লা। সাধারণত ৫০ লাখ আউন্স সোনা মজুত থাকলে খনিগুলোকে বিশ্বমানের বলা যায়। কিন্তু বর্তমানে প্রাপ্ত খনিগুলোতে আড়াই লাখের বেশি সোনা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্বর্ণ বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলো খনিতে বিনিয়োগের থেকে স্টক মার্কেট থেকে সোনা কেনা লাভজনক বলে মনে করছে। যদিও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র উৎপাদনের ৪০ ভাগ খরচ বহন করে, তবু এখন খনিগুলো ইকুয়েডর, আফ্রিকার দিকে ঝুঁকছে। তবে আশার কথা, বিশ্বের বাজারে বর্তমানে এক লাখ ৯০ হাজার টন সোনা আছে এবং বছরে উৎপাদিত হয় তিন হাজার টন। তাই উৎপাদন কমে গেলেও আশঙ্কার কোনো কারণ আপাতত নেই বলে জানা যাচ্ছে।

সোনা আহরণ এবং সোনার ব্যবহার : সোনা নরম ধাতু হওয়ার ফলে একে নিয়ে গড়েপিটে কাজ করা যায়। পিটিয়ে কাগজের চাইতেও পাতলা করা যায়। অন্য ধাতুর ওপর আস্তরণ দেওয়া যায়। খাঁটি সোনাকে ব্যবহারযোগ্য কঠিন করতে হলে একটু তামা আর অন্য ধাতু মেশাতে হয়। কয়েক বছর আগে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানিয়েছিল, সভ্যতার শুরু থেকে এ পর্যন্ত মাটির নিচ থেকে এক লাখ ৭৪ হাজার টন সোনা আহরণ করা হয়েছে। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, বিশ্বে এখন মাত্র ৫১ হাজার টন সোনার মজুত রয়েছে। পৃথিবীতে  সোনার যা উৎপাদন, তার শতকরা ১০ ভাগ মাত্র গয়নাগাটি তৈরিতে যায়। কিছু পরিমাণ সোনা কয়েকটা ওষুধ তৈরির কাজেও লাগে। বাদবাকি অংশ বিভিন্নভাবে জমানো হয়, আর নইলে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেনের কাজে লাগে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় পর্যন্ত (১৯১৪-১৯১৮) সোনা দিয়ে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিনিময় চলত। জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ সালে লিডিয়ান বণিকরা প্রথমবারের মতো ধাতব মুদ্রা হিসেবে সোনার ব্যবহার শুরু করেন, যার নাম দেওয়া হয় ইলেকট্রাম। জানা যায়, প্রাচীনকালের সব জাতিতেই সোনার ব্যবহার ছিল। অর্থের প্রধান মানদণ্ড ছিল সোনা। তবে অলংকার হিসেবে স্বর্ণ বা সোনা স্থান করে নিতে বেশ সময় নেয়। চীন, ভারত এবং মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত রাজ্যগুলোতে খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দীতেও সোনা ব্যবহূত হতো। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম-সপ্তম শতাব্দীতে গ্রিসে সোনার তৈরি টাকার প্রচলন ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে আর্মেনিয়ায় সোনার টাকা ব্যবহূত হতো।

সম্পদ এবং শক্তির প্রতীক : বিজ্ঞানমতে, সোনা বা গোল্ড একটি মৌল, যা মূলত এটি গাঢ় হলুদ, নরম ও অত্যন্ত ঘন ধাতু। সোনা বা স্বর্ণের ল্যাটিন নাম ধঁৎঁস, যার অর্থ দীপ্তপূর্ণ বস্তু। বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক উপাদান হিসেবে সোনা বিবেচিত। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি-অবনতিও সোনার ওপর নির্ভর করে। এ কথা অনেকেরই জানা আছে, সোনা মজুতের ওপর নির্ভর করে একটি দেশের মুদ্রার মূল্য নির্ধারণ করা হয়। দেশে দৈনিক ১০ কোটি টাকার সোনার বাজার যার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২১ টন। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে মোট সোনার সামগ্রী তৈরিতে ৬০ শতাংশ তৈরি হয় নতুন সোনায় আর ৪০ শতাংশ পুরোনো সোনা ব্যবহূত হয়। আরো জেনে রাখুন, পৃথিবীতে উৎপন্ন স্বর্ণের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অলংকারে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ইলেকট্রনিক শিল্পে ১০-১৫%  বাদবাকি অংশ ওষুধ ও দন্ত চিকিৎসায় স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর যেসব দেশে বেশি সোনা মজুত রয়েছে, তাদের মধ্যে এক নম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের আট হাজার ১৩৩ টন, দ্বিতীয় স্থানে জামার্ন তিন হাজার ৩৮৪ টন, তৃতীয় স্থানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএফএম), এরপর রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, সুইজারল্যান্ড। জেনে রাখুন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সোনা উৎপাদনকারী দেশ  এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণখনির দেশ। তবে ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর দুই হাজার টনের বেশি সোনা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দেশে সোনা ক্রয়-বিক্রয়ের বড় বাজার রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে।  তাঁতীবাজার এলাকায় ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই সোনা কেনেন। এই সোনাই আবার সারা দেশের ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেন। ঢাকার বড় বড় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানও তাঁতীবাজার এলাকা থেকে সোনা কিনেন।

মানুষের আকর্ষণের কারণ : সোনা ও সোনার তৈরি সামগ্রীর প্রতি মানুষের আগ্রহ ও মুগ্ধতা চিরন্তন। সোনার প্রতি এই অদম্য আকর্ষণের পেছনের কারণ কী? সোনার নজরকাড়া ঝলমলে রূপ, নাকি বিরল ধাতু হিসেবে এর উচ্চ মূল্য? অধিকাংশ মানুষই চায় নিজের সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী কিছু সোনা নিজের মালিকানায় রাখতে। বেলজিয়ামের একদল গবেষক বলছেন, সোনার প্রতি মানুষের আকর্ষণের রহস্য লুকিয়ে আছে, দেহে প্রাণ টিকিয়ে রাখার আদি ও মৌলিক নিয়মের মাঝে। সোনার রঙের দিকে লক্ষ্য করলে সেটিকে কেবল একটি রং নয়, বরং পানির মতো ঢেউ খেলানো, চকচকে একটি পৃষ্ঠতল বলে মনে হয়। আর যেহেতু মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানির প্রয়োজন, তাই তার চোখ সব সময়ই এমন বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়, যা দেখতে পানির মতো চলনশীল। বস্তুত প্রজাতি হিসেবে আমাদের ব্যাপক সাফল্য ও অগ্রগতি সাধিত হলেও আজও আমরা আমাদের সহজাত আদিম প্রয়োজনীয়তার দিকেই ধাবিত হই। আর সোনার প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণই এর প্রমাণ।

ধর্মচর্চায় সোনার ব্যবহার : সোনার ভিন্নধর্মী, অপার্থিব সৌন্দর্যের রহস্যময়তা মানুষকে জুগিয়েছে ভাবনার রসদ। আর তাই মানুষ সোনাকে স্রষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, পবিত্র কোনো উপাদান হিসেবে ধরে নিয়েছে। সোনার তৈরি জিনিসের পৃষ্ঠতলে আলো প্রতিফলিত হওয়ার কারণে এগুলোকে দেখলে ভ্রম হয় যেন, এর ভেতর থেকে স্বর্গীয় আলো ছড়াচ্ছে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষ সোনাকে অলৌকিক কোনো উপাদান বলে মনে করত। হয়তো বা এ কারণেই সারা বিশ্বেই মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মিনার, গম্বুজ, প্রতিমা তৈরি বা অন্যান্য সাজসজ্জায় আজও সোনার ব্যবহার দেখা যায়। অ্যাজটেকরা মনে করত, সোনা হচ্ছে দেবতাদের বিষ্ঠা। ইনকা সভ্যতার বিশ্বাস অনুযায়ী সোনা হচ্ছে সূর্যের ঘাম বা অশ্রু। আবার প্রাচীন মিসরে  সোনাকে দেবতাদের মাংস বলে ভাবা হতো। তাদের মধ্যে মৃতদেহকে সোনার তৈরি মুখোশ (ইঁৎরধষ গধংশ) পরিয়ে দেওয়ারও চল ছিল। 

মনের অনুভূতি জাগ্রত করে : সোনার রং হচ্ছে দৃষ্টি আকর্ষক, আত্মবিশ্বাসের পরিচায়ক। এটি আভিজাত্য, অমিতব্যয়িতা, সাফল্য, আড়ম্বর ও উষ্ণতা প্রকাশ করে। কেউ আবার সোনার অতি প্রাচুর্যের মধ্যে থাকলে আরো ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির সন্ধানে অহংবোধে আচ্ছন্ন হতে পারেন, সুযোগসন্ধানী হয়ে উঠতে পারেন। সোনার নেতিবাচক প্রভাবের ফলে কেউ কেউ স্বার্থপরতা, দয়া ও ঔদার্যের অভাব, ব্যর্থতার ভয়েও ভুগতে পারেন। সোনার রং কেবল একটি রং নয়, এটি একপ্রকার ক্রোমেচার অর্থাৎ রঙের বিশেষ বিন্যাস, যা মানুষের মনে সুনির্দিষ্ট ধরনের অনুভূতি তৈরি করতে সক্ষম। যেমন একটি লোমশ বাদামি ভালুকের শরীরের একাংশের একটি ছবি এবং সেই একই বাদামি রঙের সাধারণ একটি ছবি যদি পাশাপাশি রাখা হয়, তবে ভালুকের লোমের ছবিটি দেখামাত্রই দর্শকের মনে একটি ভালুকের ছবি  ভেসে উঠবে। অন্যদিকে সাধারণ বাদামি রঙের ছবিটি দেখলে তেমন কোনো অনুভূতি জাগ্রত হবে না। তেমনি সোনার তৈরি জিনিসের রংগুলোও ক্রোমেচার। কারণ এগুলো দেখতে হলদেটে হলেও এটি সাধারণ হলুদ রং নয়।

শরীরে উদ্দীপ্তকারী প্রভাব ফেলে সোনা : চীনের আলকেমিস্টরা মনে করতেন, স্বর্ণ পান করলে এবং খাওয়ার কাজে সোনার বাসন-কোসন ব্যবহার করলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। প্রাচীনকালের বিশ্বাস অনুযায়ী, সোনা শরীরের ওপর উষ্ণ ও উদ্দীপ্তকারী প্রভাব ফেলে। অপরদিকে রুপার ভূমিকা হচ্ছে শীতল ও বাধাদানকারী। এ ধারণা থেকে হাজার হাজার বছর ধরে আকুপাংচার চিকিৎসায় সোনা ও রুপার তৈরি সুচের ব্যবহার হয়ে এসেছে। তবে আধুনিককালে এ ধারণা বিলুপ্তপ্রায়। সোনার মধ্যে বার্ধক্যের ছাপ রোধ করার ক্ষমতা আছে, এই বিশ্বাস থেকে রানি ক্লিওপেট্রা নিজের ত্বকের যৌবন ধরে রাখার জন্য খাঁটি সোনার মুখোশ পরে থাকতেন। আধুনিক মেডিকেল গবেষণা অনুযায়ী, সোনা কোষের পুনর্গঠন ও কোলাজেনের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে। শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে না এবং সহজেই শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যায় বলে দাঁতের আর্টিফিশিয়াল ক্রাউন, ব্রিজ, অর্থোডন্টিক অ্যাপ্লায়েন্স তৈরিতে এবং দাঁতের ফিলিং চিকিৎসায় অনেক সময় সোনা ব্যবহার করা হয়। ক্যানসারের চিকিৎসায়ও বর্তমানে রেডিওঅ্যাকটিভ গোল্ড আইসোটোপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

বর্জ্য থেকে সোনা : ২০০৯ সালে মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া তারা পেয়েছেন, যারা নাকি বর্জ্যকে সোনায় রূপান্তর করতে পারে। তাদের মতে, বিশেষ জাতের ওই ব্যাকটেরিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম ‘কাপরিয়াভিদাস মেটালিডুরানস’ (Cupriavidus metallidurans)। এই বিশেষ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, এই ব্যাকটেরিয়ারা বিশেষ একধরনের বিষাক্ত তরল খেয়ে বর্জ্য হিসেবে ২৪ ক্যারেট সোনা তৈরি করতে পারে। গবেষকরা পরীক্ষাগারে এ ব্যাকটেরিয়াকে মাটির মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রকৃত প্রদত্ত বিষাক্ত পদার্থের সঙ্গে রাখার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই বিষ থেকে সোনা তৈরির নমুনা দেখতে পান। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিকূল বিষাক্ত পরিবেশে ও ‘কাপরিয়াভিদাস মেটালিডুরানস’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ারা টিকে থাকে। এরা গোল্ড ক্লোরাইড নামক বিষাক্ত তরল থেকে খাঁটি সোনা তৈরি করতে পারে।  ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি Nature Biology journal-এর অনলাইন সংস্করণে এ বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ পায়। ওই প্রবন্ধে কানাডার ম্যাকমাস্টারর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘ডেল্ফশিয়া এসিডোভোরানস’ নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে, যারা আয়নকে সোনায় রূপান্তর

করতে পারে। তবে এই পরীক্ষাগুলো পরিবেশের জন্য বিরূপ প্রভাব রাখে, সেজন্য এর পরীক্ষাগারে এর উৎপাদন বিজ্ঞানীদের দ্বিধায় ফেলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads