• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প যেন না ছড়ায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প যেন না ছড়ায় : প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৮

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা এই দেশেরই সন্তান। আপনারা এই দেশেরই মানুষ। এই দেশ আপনাদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। শহীদের রক্ত তো কোনো বাধা মানেনি। কে হিন্দু কে মুসলমান, কে খ্রিস্টান, কে বৌদ্ধ, সেটা দেখেনি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কাজেই বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প কেউ যেন ছড়াতে না পারে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতি মানুষ যেন তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন ও যার যার অধিকার ভোগ করতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থাটাই করতে চেয়েছি।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মহোৎসব উপলক্ষে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে ৫ হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাকর্মী যোগ দেন। হিন্দু ধর্মীবলম্বীরা আসন্ন দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রয়োজনে ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারে।

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে গ্রেনেড হামলার ঘটনার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে গ্রেনেড মারা হয় যুদ্ধের ময়দানে, সেই গ্রেনেড মারা হয়েছিল তখনকার যারা ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতায়। এ ছাড়া কোনো দিন এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। শুধু এই ঘটনা নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সার দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এমন কোনো হিন্দুবাড়ি ছিল না যেখানে আক্রমণ না করেছে। তারা কোনো কিছুই বাদ দেয়নি। তারা সবার ওপরেই আক্রমণ চালিয়েছে। বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর বেশি অত্যাচার করেছে। ঠিক একইভাবে ’৯২ সালে বাবরি মসজিদে যখন হামলা হয় তখনও এখানে হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছিল, সে কথাও তুলে ধরেন।

প্রতিবছরেই পূজার সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় এটাই চেষ্টা করি, সেটা হিন্দুধর্ম হোক, খ্রিস্টান ধর্ম হোক, বৌদ্ধ ধর্ম হোক বা আমাদের মুসলমান ধর্ম হোক, প্রত্যেকটা উৎসব যেন একটা আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। কারণ আমাদের স্লোগানই হচ্ছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার এবং এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সব থেকে সৌন্দর্য। সব ধর্মের মানুষ এখানে আত্মসম্মান ও সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সরকার সেই পরিবেশ বজায় রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অর্পিত সম্পত্তি বিরোধ নিষ্পত্তিতে সরকার আন্তরিক বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকার মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি মন্দিরভিত্তিক শিশু শিক্ষার ব্যবস্থাও করছে, সেই দিকটিও তুলে ধরেন তিনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads