• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া মেরিটাইম ও লজিস্টিক ফোরামের অনুষ্ঠানে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়

ছবি -বাংলাদেশের খবর

সরকার

আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৮

দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের নৌপরিবহন খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যথাযথভাবে তা কাজে লাগিয়ে জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখা সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দ্বিতীয় সাউথ এশিয়া ম্যারিটাইম অ্যান্ড লজিস্টিক ফোরাম ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু নিজের দেশ নিয়ে ভাবি না। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বাজার সম্প্রসারণের ফলে দক্ষিণ এশিয়া বৈশ্বিক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলের পণ্য সরবরাহ ও সামুদ্রিক পরিসেবা প্রসারিত করার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলপথের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও দিন দিন বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় সামুদ্রিক জাহাজগুলোয় সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০২০-এর মধ্যে সামুদ্রিক জাহাজগুলোয় বিদ্যমান ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সালফারযুক্ত জ্বালানির পরিবর্তে ০ দশমিক ৫ শতাংশ সালফারযুক্ত জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) সনদে সই করেছে। এ বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হওয়া উচিত।

দেশের নদী ও নৌযান উন্নয়নে এবং মানুষ ও পণ্য পরিবহনে নদীর নাব্য রক্ষা, নদীর মাধ্যমে জলাধার সৃষ্টি ও নিরাপদ নদীপথ উন্নয়নে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে মূল্য ও জ্বালানিসাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে যৌক্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবহন মাধ্যম হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ জন্য আমরা বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌরুটগুলো চালু করা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া সামুদ্রিক ও লজিস্টিক ফোরাম ২০১৮-এ যেসব সুপারিশ দেওয়া হবে তা এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, শিপিং খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশনের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রীলঙ্কার কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কনফারেন্স ইভেন্টস এবং ভারতের গেটওয়ে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ভারতের সড়ক ও নৌপরিহনমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া, শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল পলিটিকস অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. হর্ষ ডি সিলভা, ইন্ডিয়া গেটওয়ে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের এডিটর ইন চিফ রাম প্রসাদ রবি এবং বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও উপস্থাপনা পরিবেশিত হয়। বাসস

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads