• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুত পদ্মা সেতুর পাড়

মাওয়ার দিক থেকে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর ধূসর রঙের ‘১ এফ’ নম্বরের ষষ্ঠ স্প্যানটি বসানো হয়

ছবি - বাংলাদেশের খবর

সরকার

প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুত পদ্মা সেতুর পাড়

মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

  • মো. আবুল হোসেন সরদার, শরীয়তপুর ও মঈনউদ্দিন সুমন মুন্সীগঞ্জ
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আসছেন পদ্মা সেতু এলাকায়। তার সফরের আগে ষষ্ঠ স্প্যানটি জোড়া লাগানোর ফলে এখন মাওয়া প্রান্ত থেকে দেখা যাচ্ছে পদ্মা সেতু। গত শুক্রবার সকালে মাওয়ার দিকে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির উপর ধূসর রঙের ‘১ এফ’ নম্বরের ষষ্ঠ স্প্যানটি বসানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ পরিদর্শন, পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজের অগ্রগতির ফলক উন্মোচন ও রেল সংযোগ ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পদ্মার দু’পাড়ে শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’পাড়েই এখন সাজ সাজ রব। সবার ভেতর আনন্দের বন্যা।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো কর্মসূচির মাধ্যমে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ প্রথমে সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে কাজের অগ্রগতি দেখবেন, মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন। এরপর তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা সার্ভিস এরিয়া-২-এ আসবেন। জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজার কাছে পদ্মা সেতুর অগ্রগতির নামফলক উন্মোচন করবেন। এরপর এন-৮ মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা ৮ লেনের ১৩০ মিটার নদীতীর সড়কের অগ্রগতি পরিদর্শন ও উদ্বোধন করবেন। তিনি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ ফাউন্ডেশন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর এবং স্থানীয় নদীশাসন কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। বিকালে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াস আলী ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। জনসভা শেষে বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন। এজন্য পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার পাশের গোলচত্বরে তৈরি করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। নৌকার আদলে তৈরি করা এই মঞ্চ ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রস্তুতি চলছে। প্রায় তিন বছর পর শেখ হাসিনার মাওয়া সফর নিয়ে প্রশাসনে এখন তুমুল ব্যস্ততা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম সভাস্থল পরিদর্শনসহ যাবতীয় প্রস্তুতির খোঁজখবর নেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যেসব সফলতা, অবদান ও কৃতিত্ব সবকিছু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দৃশ্যমান পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার একক সাহসী নেতৃত্বের সোনালি ফসল। এখানে অন্য কারো কোনো অবদান নেই। তিনি অত্যন্ত সঙ্কটে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণ থেকে সরে গিয়েছিল। কিন্তু আমি, আমার লিডার পার্টির সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি একা নই, এখানে একটি টিম কাজ করেছে। টিম যেমন সচিব, পিডি, সেনাবাহিনীর মূল্যবান অবদান ছিল।

গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের টোল প্লাজার কাছে মঞ্চ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সত্যটা অস্বীকার করার কিছু নেই যে, পদ্মাপাড়ের মানুষের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। শিবচর, জাজিরা, লৌহজং, শ্রীনগর উপজেলার জনগণ, জনপ্রতিনিধি সীমাহীন কষ্ট শিকার করেছেন। পৈতৃক সম্পত্তি ছেড়ে দিতে হয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার বেদনা অঙ্কুরে বিদ্যমান। সেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই দুই পাড়ের মানুষ। পদ্মা সেতু নির্মাণের এই পর্যায়ে আসার পেছনে উভয় পাড়ের জনগণের সীমাহীন ত্যাগ, অবদান আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads