• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

সরকার

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ অক্টোবর ২০২০

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার সবকিছু করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) গণভবন থেকে বেলা ১১টার দিকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২০’ এর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে নাগরিকদের আরো সচেতন হতে হবে। যিনি রাস্তায় যাবেন তারও দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া গাড়ির গতি নির্ধারণে মহাসড়কগুলোতে গতি মাপার প্রযুক্তি স্থাপনের পাশাপাশি চালকদের ডোপ চেষ্ট করার নির্দেশ দেন তিনি। সড়ক দুর্ঘটনা হলে গাড়ি ভাংচুর ও চালকের গায়ে হাত দেয়া বন্ধ করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত স্থান ছাড়া রাস্তা পারাপারে, কেউ দুর্ঘটনায় পরলে তার দায় সংশ্লিষ্ট পথচারীর। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নে সরকার মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। করোনার কারণে সড়কের কাজে কিছুটা বাধা আসলেও দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার স্থান ও কারণ চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করছে আওয়ামী লীগ সরকার।

এছাড়াও করিডোর উন্নয়নসহ ট্রাফিক সাইন ও রোড মার্কিং স্থাপন, মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার নির্মাণ, চালকদের প্রশিক্ষণসহ নানামুখী উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ঢাকা-আরিচা জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ করা হয়েছে। সারা দেশের মহাসড়কে ১৪৪টি ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত করে ১২১টি নিরসন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাকিস্তনি হানাদার বাহিনীর দ্বারা দেশের অধিকাংশ সড়ক অবকাঠামোসহ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে মাত্র সাড়ে ৩ বছরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলেন  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

‘সড়ক নির্মাণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার তাগিদ দিয়ে’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশে প্রচুর পরিমাণে সড়ক, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব নির্মাণে যেন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ যাতে এসব থেকে উপকৃত হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের আমলে মহাসড়কের নেটওয়ার্ক ২১ হাজার ৩০২ দশমিক ৮ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। ৪৫৩.০৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে ও তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ১২০৯টি সেতু ও ৫৫৮১টি কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ, ১৮টি ফ্লাইওভার/ওভারপাস ও ২৭টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর বান্দরবানে স্বামী নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। এর পর থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। নিসচার আন্দোলনের ফল স্বরুপ ২০১৭ সালের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই বছর থেকেই বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads