• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৯

বার বার সতর্ক করার পরও কারো বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে, নিয়ন্ত্রণহীন এডিসের কামড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে স্বীকার করে নিলেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি জানান, যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের সব সংস্থা তৎপর রয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তারা একথা বলেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর এ মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নিয়ন্ত্রণহীন এডিসের বংশ বৃদ্ধি রোধে ছিটানো হয় ওষুধ। এর আগে সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্কাউটসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সচেতনতা কার্যক্রম। বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। এসময় মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা পরিচ্ছন্ন ঢাকা চাই। প্রত্যেক শিক্ষক এবং ছাত্র আপনার (মেয়র) সঙ্গে থাকলে পরিচ্ছন্ন ঢাকা তৈরি হয়ত আপনার জন্য সহজতর হবে।

নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, এটা খুব কঠিন কাজ না। তবে আমরা দিতে চাচ্ছি, এতে শরীরের কোনো ক্ষতি হবে না।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের সকল সংস্থা সমন্বিত ও একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই মেয়র বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এ কথার সঙ্গে আমরা কেউ দ্বিমত নই। সরকারের সকল শাখা, সেনাবাহিনী পর্যন্ত এই কাজে প্রস্তুত রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি এলাকায় বলে আসার পরও যদি সেখানে গিয়ে মশার বংশবিস্তারে সহায়তা করে এমন কিছু পেলে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৯০জন রোগী। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ২৪২জন। এবং এ যাবত চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৬৫৭ জন রোগী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads