• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রাজধানীর অনেক এটিএম বুথে জীবাণুনাশক স্প্রে নেই

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

রাজধানীর অনেক এটিএম বুথে জীবাণুনাশক স্প্রে নেই

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার বিকল্প মাধ্যম এটিএম বুথ। বর্তমান সময়ে রাজধানীর অনেক এটিএম বুথ ব্যবহার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

কারণ, বুথগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক রাখার কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি বুথে নেই সে আয়োজন ।

জীবাণুনাশক শেষ হয়ে যাওয়ার অজুহাত দিতেও দেখা গেছে অনেক বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে। গ্রাহকের হাতের স্পর্শ লেগে বুথ থেকে যাতে ভাইরাস ছড়াতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিপূর্বে ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছিল।

সে অনুযায়ী অনেক ব্যাংকের এটিএম বুথের ব্যবস্থাপকেরা এ নিয়ে খুবই সতর্ক আছেন, তাদের আয়োজনও ভালো। আবার গ্রাহকদের মধ্যেও দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। অনেক গ্রাহক যেমন খুবই সতর্কতার সঙ্গে বুথ ব্যবহার করছেন, আবার অনেকে কিছুই তোয়াক্কা করছেন না।

গত কয়েকদিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকার এটিএম বুথগুলো ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে এটিএম ব্যবহারকারীর সংখ্যা হাতে গোনা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) সামনে ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথে দেখা যায় এক দম্পতি টাকা তোলার জন্য এসেছেন। টাকা তোলার পর নিরাপত্তাকর্মী জীবাণুনাশক এগিয়ে দিলে শফিকুর রহমান তা ব্যবহার করেন।

রাত পৌনে আটটায় নাবিস্কো মোড়ের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাকের এটিএমেও জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে দেখা গেল। রাত আটটায় নাখালপাড়ায় যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথে জীবাণুনাশক নেই।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশে ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম বুথেও জীবাণুনাশক মিলল। তবে রাত সাড়ে আটটায় লুকাস মোড়ে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাকে জীবাণুনাশক দেখা যায়নি। পাশের এবি ব্যাংকের এটিএম বুথেও জীবাণুনাশক পাননি এক গ্রাহক।

কর্তব্যরত দারোয়ান জানালেন, জীবাণুনাশক ছিল, শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে দেওয়া হয়নি। আবার কিছু বুথে কোনো কোনো গ্রাহককে জীবাণুনাশক ব্যবহারে অনীহা দেখিয়ে চলে যেতেও দেখা গেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলোকে কর্মীর পাশাপাশি গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। জীবাণুনাশক রাখার দায়িত্বটি ব্যাংকগুলোর। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা তাদের নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads