• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ কাল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ কাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ জুন ২০১৮

দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে গাজীপুর সিটি এলাকা এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। ইউনাইটেড হাসপাতালে তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নইলে লেট ক্লিয়ারিংয়ের জন্য অনেক বেশি ডেমারেজ দিতে হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে শুধু অন্যায়ভাবে সাজাই দেওয়া হয়নি, এখন তার ওপর চলছে নানা কায়দায় অমানবিক নির্যাতন। তার শারীরিক অসুস্থতার যাতে যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তার জন্য সরকার এমন কোনো ফন্দি নেই যা আঁটছে না। তার চিকিৎসাকে বিলম্বিত করার জন্য মন্ত্রীদের দিয়ে নানা কাহিনি শোনানো হচ্ছে মানুষকে।

তিনি বলেন, বার বার কারাবিধির কথা বলে মন্ত্রীরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়টি গায়ের জোরে আটকাতে চাচ্ছেন। কারাবিধি নিয়ে মন্ত্রীদের কথায় মনে হয় তারা যেন ধর্মীয় বাণী আওড়াচ্ছেন, যার বরখেলাপ হলে মহাপাপ হয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, বিদ্যমান কারাবিধিতেই ১/১১ সরকারের সময় আটক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কয়ারের ন্যায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়টি আইনমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড়িয়ে যান। কারণ শেখানো বুলি আওড়ানো ছাড়া মন্ত্রীদের করার কিছু নেই। ব্যক্তিগত চিকিৎসক, উন্নতমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে বলেই খালেদা জিয়া সেখানে চিকিৎসা করাতে চান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সিঙ্গাপুর অথবা লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসা করাতে- সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যত টাকা খরচ হোক না কেন। কিন্তু খালেদা জিয়া নিজ দেশেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন। আর এ জন্য রাষ্ট্রের কোনো টাকা লাগবে না। তার আত্মীয়-স্বজনরাই চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads