• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশের চাপেই ফেরত পাঠিয়েছে ভারত

খালেদার জিয়ার আইনজীবী লর্ড কার্লাইল

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

লর্ড কার্লাইলের দাবি

বাংলাদেশের চাপেই ফেরত পাঠিয়েছে ভারত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০১৮

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল দাবি করেছেন, বাংলাদেশের চাপে ভারত সরকার তাকে ফেরত পাঠিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ও উপদেষ্টা কার্লাইল সংবাদ সম্মেলন করতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছার পর গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকা খালেদার পক্ষে লবিং চালানো এই আইনজীবী লন্ডনে ফিরে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর পরও অনুপযুক্ত ভিসার অজুহাতে ভারত সরকার তাকে ফিরিয়ে দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কার্লাইল। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের চাপেই ভারত এ কাজ করেছে। এ ঘটনায় দিল্লি প্রশাসনের ‘লজ্জায় মাথা নিচু করা উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কার্লাইল বলেন, ‘আইনের শাসনের দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে খুবই নাজুক অবস্থানে রয়েছে।’ খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তার মামলাটি রাজনৈতিক; স্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তা চলছে। তাকে আইনের মূলনীতি লঙ্ঘন করে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর বহু ঘটনা লক্ষ করা গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।’

তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি বিচারিক নিয়ম লঙ্ঘন করে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। খালেদার জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টিও অনিয়ম বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই মামলাকে কেন্দ্র করে ভারত থেকে তাকে ফেরত পাঠানোয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়বে বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।

এদিকে বৃহস্পতিবারই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার এক বিবৃতিতে বলেন, কার্লাইলের উপযুক্ত ভিসা ছিল না। তার আচরণ ‘সন্দেহজনক’ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রবিশ বলেন, ‘তার (কার্লাইল) উদ্দেশ্যমূলক আচরণ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।’ তবে ‘অনুপযুক্ত ভিসা’ ও ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে ভারত সরকারের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন কার্লাইল। তিনি বলেন, আমি এ আচরণের ব্যাখ্যা ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছি। ভারতে সংবাদ সম্মেলন করতে চাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য দিল্লিই উপযুক্ত জায়গা।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads