• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় শেখ হাসিনা ও সরকারের : ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৮

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে সুচিকিৎসা না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ৩টায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এ জন্য তার শারীরিক অবস্থা কঠিনতর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বার বার অনুরোধ করা হলেও তাকে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে নিতে হবে।

প্রশাসনের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিকালে কর্মসূচি পালন করব।  আশা করব যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্ব ও নির্বাচন থেকে সরাতে সরকার দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মূলত বিএনপিকে সব দিক থেকে বেকায়দায় ফেলতে এ অপতৎপরতা শুরু করেছে তারা।

বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিলুপ্ত ৭ ধারার মতো নির্বাচন কমিশন অনুরূপ একটি ধারা চালু করছে বলে জানতে পেরেছি। এর উদ্দেশ্য বিএনপির নেতৃত্ব থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সরানো, যাতে বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করা যায়। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা সংশোধন করেছে বলে ১১ জুলাই সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য অলীক, অবাস্তব। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য একটি গভীর চক্রান্তের  অংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এটা এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। এ দলের মধ্যে আর রাজনীতি বলে কোনো শব্দ অবশিষ্ট নেই। আওয়ামী লীগ মনে করেছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় তারা এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনৈতিক পথে হাঁটবেন না। সোজা পথে হাঁটুন, কারণ আপনারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। নোংরা কৌশল থেকে বের হয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। গণতন্ত্রের পথে আসুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর দলীয় ও সংসদীয় পদে বহাল আছেন। কিন্তু এটাতে কোনো দোষ নেই। শুধু দোষ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তাকে একটি সাজানো মামলায় দীর্ঘদিন আটকে রাখছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads