• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শরিকদের আসনে দলের প্রার্থী চায় আ. লীগের তৃণমূল

লোগো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

শরিকদের আসনে দলের প্রার্থী চায় আ. লীগের তৃণমূল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৮

১৪ দলীয় জোটের শরিকদের আসনগুলোয় ভোটের আনুপাতিক হার বিবেচনা করে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। জোট শরিকদের এমপি আছেন এমন আসনের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের দাবি, যেসব দলের ভোট বেশি তাদের ব্যাপারে অভিযোগ নেই। কিন্তু যেসব প্রার্থী শুধু আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের আগামীতে মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হবে না। এমন অনেকগুলো আসনে প্রার্থীদের ব্যাপারে আপত্তিপত্র দলের সভাপতি বরাবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই আপত্তি উঠতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের তৃণমূল সফরের সময়। তখন তৃণমূল নেতারা অনেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সংবলিত চিঠিও কেন্দ্রে পাঠান। বিশেষ করে ঢাকার আসনগুলো জোট শরিকদের না দেওয়ার জোর দাবি রয়েছে। সর্বশেষ চলতি মাসে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বর্ধিত সভায়ও বিষয়টি জোরালোভাবে তোলা হয়। ঢাকা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও বরিশালের তৃণমূল নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব আসনে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানান।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, জোটের সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছু লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন সময় আমরা পেয়েছি। সর্বশেষ বর্ধিত সভায়ও তৃণমূল নেতারা নেত্রীর হাতে খামে করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে কোন্দলের কথা জানানোর পাশাপাশি জোটের আসনগুলোয় দলীয় প্রার্থী দেওয়ার অনুরোধ রয়েছে। এখন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এসব চিঠি পড়ে করণীয় ঠিক করবেন।

গত ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ। বর্তমান সরকারের সময় কুষ্টিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দলের সভাপতি নৌকা দিয়ে যে প্রার্থীকে নির্বাচনী ময়দানে পাঠাবেন, তাকেই জয়ী করতে আত্মবিশ্বাসী তারা। এক্ষেত্রে তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানান। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, তার জেলা আগে জামায়াত অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু এখন এ এলাকায় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সুতরাং এখন অন্য দলের প্রার্থী দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী বলেন, মৌসুমি নেতাদের আধিপত্য দূর করতে হবে। বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগের ঐক্য ধ্বংস হয়। মৌসুমি নেতারা এর বড় কারণ। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো ভাবা দরকার। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, নির্বাচনের আগে অনেক সমীকরণ হয়। যেহেতু আমরা জোট করেছি, সুতরাং তাদের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। কিছু ছাড় দিতে হয়। এত বড় দলে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন আবদার থাকবে, তবে তাদের কথাও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। নির্বাচনের এখনো কয়েক মাস বাকি। আমাদের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে, তাছাড়া নেত্রীও আছেন। সবার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭.০ শতাংশ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) পেয়েছিল তিনটি আসন। তাদের ভোট ০.৬ শতাংশ। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পেয়েছিল দুটি আসন। তাদের প্রাপ্ত ভোট ০.৩ শতাংশ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি ৩৫টি, জাসদ পাঁচটি, ওয়ার্কার্স পার্টি পাঁচটি, বিএনএফ একটি, তরিকত ফেডারেশন দুটি আসন।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads