যে হাত দিয়ে জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ শব্দটি যোগ করেছিলেন, সেই একই হাত দিয়ে তিনি মদের বার ও হাউজির নামে জুয়া খেলার লাইসেন্স দিয়েছিলেন। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা কলেজে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটি আয়োজিত ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাদকমুক্ত দেশ গঠনে ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সারা দেশে ৩৬০টি মদের বারের লাইসেন্স দিয়েছিলেন। ইয়ুথ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে হাউজির নামে জুয়া খেলার লাইসেন্সও তিনি দিয়েছিলেন। লাকী খানের ঝাঁকি নৃত্যও প্রচলনও করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যুবসমাজকে নষ্ট করার জন্য যত রকমের অপকর্ম দরকার তার সবই ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো করেছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বক্তৃতাকালে রেসকোর্সের নাম বদল করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান করেন। সেখানে রেসকোর্স অর্থাৎ ঘোড়দৌড় বন্ধ করেন। একই সঙ্গে মদের বার ও জুয়া খেলা বন্ধ করেন। ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো দেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করেই তা পুনরায় চালু করেন। তারাই নাকি আবার ইসলামিক ভাবধারায় বিশ্বাস করেন?’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘হিজবুল বহর নামে একটি জাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রীদের হজে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন বঙ্গবন্ধু। সেই হিজবুল বহরের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিঙ্গাপুরে যান এবং সেখানে গিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। এই হলো তার ধর্মীয় প্রেম, এই হলো তার দেশপ্রেম।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নতুন ষড়যন্ত্র শুরু। কিন্তু কোনো কিছুই শেখ হাসিনা সরকারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও উপকমিটি সদস্য সচিব শামসুন্নাহার চাঁপার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
