• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আ.লীগের প্রয়োজন নতুনদের মনোনয়ন : গাফফার চৌধুরী 

প্রখ্যাত সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

আ.লীগের প্রয়োজন নতুনদের মনোনয়ন : গাফফার চৌধুরী 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নতুনদের মনোনয়ন দেওয়া দরকার বলে মনে করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার ভাষ্য, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একমাত্র দল যাদের ক্ষমতায় আনা যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিরা এলাকায় চাঁদাবাজি ও অসৎ কাজ করে দলের অর্জনকে নষ্ট করছে। তাই আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নিউ ব্লাড।’

গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার একাত্তর হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গাফফার চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে পরিচিত করতেই এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়, যেখানে গাফফার চৌধুরী ছিলেন প্রধান অতিথি।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য হন লিয়াকত হোসেন খোকা। তবে আগামী নির্বাচনে এখানে নৌকা মার্কার প্রার্থী চান গাফফার চৌধুরী। আর তার পরামর্শ, নৌকা প্রতীক দেওয়া হোক আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির শফিকুল ইসলামের হাতে।

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর কাকে মনোনয়ন দিলে পাস করে আসা যাবে, সে বিষয়ে একাধিক জরিপ করিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। আর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ‘আমলনামা’ তার কাছে আছে বলে একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি।

যারা দুর্নীতি করেছেন, যারা খারাপ কাজ করেছেন, তারা কেউ মনোনয়ন পাবেন না বলে সম্প্রতি দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন কীভাবে হওয়া উচিত সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আমি পরামর্শ দিতে পারি, কিন্তু আওয়ামী লীগ শুনবে কি না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।  গতকালও (শনিবার) ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মন্ত্রীদের বলেছি, আপনারা নতুনদের মনোনয়ন দিন।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তার নেতৃত্বে নতুনদের মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন করা উচিত। কারণ, বর্তমান এমপিরা এলাকায় জনপ্রিয় নন। তারা দলের মধ্যে অনেক গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন। চাঁদাবাজি করছেন।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads