• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘অসাংবিধানিক কোনো সরকারকে স্বীকৃতি দেব না’

জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

ছবি: বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

‘অসাংবিধানিক কোনো সরকারকে স্বীকৃতি দেব না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এবং যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, এক স্বেচ্ছাচারীর পরিবর্তে অন্য এক স্বেচ্ছাচারীকে আমরা আনতে দেব না। যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে, আমরা তাদের সঙ্গে থাকব। শুধু যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল তাদের সঙ্গে আমরা যাব না, এটা পরিষ্কার।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল শনিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার : প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আরো বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক প্রমুখ।

বি. চৌধুরী বলেন, আমরা একটা কথা প্রায়ই শুনি, বাংলাদেশে নাকি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশীদার নই। অসাংবিধানিক কোনো সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দেব না, মেনেও নেব না।

তিনি বলেন, আমরা চাই এ সরকার নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করবে। আমরা নির্বাচন বর্জনের কথা বলি না, সরকারকে বাধ্য করব নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করতে।

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, কত বড় স্বৈরাচার ছিলেন পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান। ১০ বছরের বেশি টেকেনি, কিন্তু আমাদের দ্বিতীয় স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১০ বছর টিকেছে। বর্তমানে স্বেচ্ছাচারী সরকার আছে, তাদেরও কিন্তু ১০ বছর। এটা খুব সিগনিফিকেন্ট। ইতিহাস বলে, অনেক সহ্য করেছি ১০ বছর হয়েছে এবার চলে যান। অনেক স্বেচ্ছাচার দেখেছি, আর দেখতে চাই না।

সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পরিণতি আমরা দেখেছি। যারা দুই নম্বরি, তিন নম্বরি করেছে; ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে তাদের অবস্থান হয়েছে। ইতিহাস প্রমাণ করে, বাংলাদেশের জনগণ কখনো পরাজিত হয়নি। বড় বড় স্বৈরাচার আমরা দেখেছি, কেউ তাদের চিরস্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

আ স ম আবদুর রব বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। প্রথমে হবে সরকার হটানোর দাবি আদায়ের আন্দোলন। এরপর হবে বাংলার মাটিতে নির্বাচন। তার আগে বাংলার মাটিতে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ইভিএম মেশিন, যন্ত্রপাতির জন্য আগেই এলসি খুলে বসে আছেন। একনেকের অনুমোদন নেই, কোনো মন্ত্রিসভার বৈঠক নেই; কী করে এলসি খুললেন? কীভাবে অনুমোদন দিলেন? এটা ফোরটুয়েন্টি ব্যাপার। এরা সব লুটেরা, লাখ-লাখ, কোটি-কোটি টাকা লুট করেছে। এটা একটা লুটের প্রকল্প। একই সঙ্গে টাকাও লুট করবে, ভোটও লুট করবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads