• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বিরোধ মিটিয়ে এক টেবিলে নাছির-ছালাম

নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

উন্নয়নে সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতি দুই নেতার

বিরোধ মিটিয়ে এক টেবিলে নাছির-ছালাম

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে এক টেবিলে বসলেন নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে চসিক কনফারেন্স রুমে নগর আওয়ামী লীগের এ দুই নেতা একসঙ্গে মিলিত হন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, হাসান মাহমুদ হাসনী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।

২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকে আ জ ম নাছির ও আবদুচ ছালামের সম্পর্কের অবনতি হয়। এরপর থেকে সিটি করপোরেশন ও সিডিএ’র মধ্যে সমন্বয়হীনতাও শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে একে অপরকে দুষতে থাকেন। জলাবদ্ধতার জন্য মেয়র দায়ী করে আসছেন সিডিএ চেয়ারম্যানের অপরিকল্পিত প্রকল্পকে। সিটি করপোরেশনের নালা পরিষ্কারের ব্যর্থতা জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করে আসছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান। এ ছাড়া সিডিএ’র নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের জন্য নগরবাসীর ভোগান্তির ব্যাপারে সিটি মেয়র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিছে আসছিলেন শুরু থেকেই।

শুক্রবার দুই প্রভাবশালী নেতাকে একত্রিত করতে উদ্যোগ নেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তার মোবাইল ফোন থেকে আ জ ম নাছির উদ্দিন কথা বলেন চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সঙ্গে। ওই দিন সোমবার দুই নেতার সিটি করপোরেশনের কনফারেন্স কক্ষে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন।

বৈঠকের ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, শুক্রবার আমরা মেয়র সাহেবের সঙ্গে দেখা করি। নির্বাচনের আগে দুই নেতার সমন্বয় করার বিষয়টি নিয়ে দুজনের সঙ্গেই আলাপ করি। আমি ছালাম সাহেবকে ফোন করে মেয়র সাহেবের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিই। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বৈঠকের ব্যবস্থা হয়। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে এবং আগামী নির্বাচনে সমন্বয়ের মাধ্যমে দুই নেতা কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। নির্বাচনের আগে উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার বিষয়ে তারা একে অপরকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়নের প্রশ্নে এক হয়েই চলতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। উন্নয়নের জন্য যেন জনগণের কষ্ট না হয় সেজন্য দুজনকে এক থাকতে হবে। এ সময় নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনো তর্ক-বিতর্ক নেই। নগরের উন্নয়নে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই। সামনে নির্বাচন। এটি আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। স্বাধীনতাযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তিকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।

নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বৈঠকে বলেন, শুধু নিজ যোগ্যতায় আমি সিডিএ চেয়ারম্যান হইনি। আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলাম বলেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে সিডিএ চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। চট্টগ্রামে ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads