• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
হতাশ বিএনপি নেতাকর্মীরা

বিএনপি চেয়ার পারসন বেগম খালেদা জিয়া

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

খালেদার আরেক মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

হতাশ বিএনপি নেতাকর্মীরা

  • রেজাউল করিম লাবলু
  • প্রকাশিত ২০ অক্টোবর ২০১৮

আগামী ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণায় হতাশ বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেছিলেন শিগগিরই মুক্তি পাবেন কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। কারণ তার বিরুদ্ধে দায়ের ৩৭ মামলার মাত্র ২টিতে জামিন বাকি ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের আশায় গুড়েবালি পড়তে শুরু করেছে।  তবে দলীয় প্রধানকে কারামুক্ত করেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে তারা তাদের নেত্রীকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তাকে মুক্ত করেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। 

তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে গত ১৩ অক্টোবর বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি ও গণফোরামের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় জামিন না হওয়া মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনটি। এসব মামলায় জামিন নেওয়ার পরই মুক্তি পাবেন খালেদা জিয়া। শিগগিরই সব মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন হবে এবং তাদের প্রিয় নেত্রী কারামুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে দলটির একাধিক নেতাকর্মী জানান, গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। একই দিন খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কয়েকটি ব্যাগও নামানো হয় গাড়ি থেকে। তাদের ধারণা ছিল হাসপাতাল থেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে বাসভবনে ফিরবেন খালেদা জিয়া। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ আগামী ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।

বিএনপিদলীয় আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৩৭টি। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ৫ বছরের সাজা হয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করেছেন আদালত।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লার ২টি বাদে বাকিগুলোর জামিন হয়েছিল। এখন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেওয়া হলে আরো একটি বাড়বে। মোট তিনটি মামলায় জামিন নিতে হবে তাকে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে তার সবই জামিনযোগ্য। কিন্তু সরকার পরিকল্পিতভাবে আদালতকে ব্যবহার করে তার জামিন আটকে রেখেছে। শতচেষ্টা করেও তারা তাদের নেত্রীকে জামিনে মুক্ত করতে পারছেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads