আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ইকোনমিস্ট গ্রুপের এই গবেষণা উইং বলেছে, দলটির নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। যার কারণে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করবে। আর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে তৃণমূলের সমর্থন। বিপরীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) প্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকার ঘটনা দলটির জয়লাভের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে রছে ইআইইউ। চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রকাশিত সর্বশেষ কান্ট্রি ব্রিফিংয়ে ইআইইউ বলেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবে।
স্থানীয় বিভিন্ন জরিপে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শেখ হাসিনার অনেক এগিয়ে থাকার তথ্য তুলে ধরে ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তা ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখা এবং দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়াতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট গ্রুপের এই গবেষণা উইং।
বিপরীতে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির পাশাপাশি ভোটের মাঠে একটি কার্যকর বিরোধী শক্তির অনুপস্থিতির কারণে বিএনপি নির্বাচনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ গড়ে তুলতে পারবে না বলেই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মনে করছে। বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকার কারণে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেছে বলে উল্লেখ করেছে ইআইইউ।
ইআইইউর পূর্বাভাস বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্র্রযাত্রা ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও ভোগ বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।
ইআইইউ ধারণা করছে, আওয়ামী লীগ জয় পেলে আগামী দিনগুলোয় বঙ্গোপসাগরের তীরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত, চীন ও জাপানের কাছ থেকে আরো অর্থনৈতিক সহযোগিতা আদায় করে নিতে পারবে।
তবে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের আশু কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে ইআইইউ। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি বড় একটি সমস্যা হিসেবেই থেকে যাবে বলে তারা মনে করছে। এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলা, বিরোধী দলের আন্দোলন এবং জনতার বিক্ষোভের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে ওই পূর্বাভাসে।
