• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
আবারো আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি

লোগাে বিএনপি

রাজনীতি

আবারো আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি

# কাল ঢাকায় জমায়েত হচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা # ইসিতে স্মারকলিপি দেবে ঐক্যফ্রন্ট # ঢেউ দিতে চায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও

  • আফজাল বারী
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০১৯

ভোট কারচুপিসহ নির্বাচনে নানা অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়ে আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি। অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের কাছ থেকে দালিলিক তথ্য নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সারা দেশের ধানের শীষের প্রার্থীদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ ছাড়া একই দিনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ফল বিপর্যয়ের পর সবস্তরের নেতাকর্মীরা বিধ্বস্ত থাকলেও বসে নেই বিএনপির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নেতারা। তারা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। সারা দেশের অনিয়মের আরো তথ্য সংগ্রহে গতকাল মঙ্গলবার সকালেই বিএনপির দফতর থেকে নির্বাচনের অনিয়ম, কারচুপি, এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকা, প্রতিটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোটের হিসাবসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যপ্রমাণসহকারে একটি রিপোর্ট মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর জমা দেওয়ার জন্য সব প্রার্থীর কাছে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভোটের দিন ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ ভোট কারচুপির ভিডিও ফুটেজ থাকলেও তাও রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট বিপর্যয়ের পর বিএনপি প্রতিটি আসনের ভোট কারচুপির তথ্যপ্রমাণাদি সংগ্রহের অংশ হিসেবে এই রিপোর্ট সংগ্রহ করছে।

সোমবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ঘোষণা করেছেন, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবেন।

পরবর্তী কর্মসূচি ও বিএনপির ভাবনা প্রসঙ্গে দলের সিনিয়র এক নেতা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আপাতত সিদ্ধান্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে দেশি ও আন্তর্জাতিক মহলে জানানো, বিষয়টি বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো, বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকা ও পুনর্নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচিতে যাওয়া।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এর মধ্যে বিএনপি ছাড়াও ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলও ছিল। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে ২০-দলীয় জোটের শরিক এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ ছাতা প্রতীকে ও কক্সবাজার-২ আসনে ২০ দলীয় জোটের অপর শরিক জামায়াতে ইসলামীর হামিদুর রহমান আজাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় সেখানে কাউকেই ধানের শীষ প্রতীক  দেওয়া হয়নি।

দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয় পেয়েছে। ফল ঘোষণার পরেই তা প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads