• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘জামায়াত নিষিদ্ধে সরকারের কিছু করার নেই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

‘জামায়াত নিষিদ্ধে সরকারের কিছু করার নেই’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের বিষয়ে এই মুহূর্তে সরকারের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দলটির নিষিদ্ধের ব্যাপারে আদালতে ঝুলে থাকা মামলার রায় না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির (চট্টগ্রাম-২) করা এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে একটি মামলা আদালতে ঝুলে আছে। আদালত মামলার রায় ঘোষণা না করা পর্যন্ত সম্ভবত এ বিষয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না। তবে আদালত যদি দ্রুত রায় ঘোষণা করেন তাহলে জামায়াতকে দ্রুত নিষিদ্ধ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে জামায়াত নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারিয়েছে, যা যেকোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে জামায়াতের নিবন্ধন না থাকলেও এর নেতারা বিএনপির সাথে জোট গঠন করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছে। তবে তাদেরকে ভোট না দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সম্পূর্ণভাবে তাদের (জামায়াত নেতাদের) প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর বাসস।

সরকারি দলের আরেক সদস্য মাহফুজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের প্রাক্কালে পরিচালিত বিভিন্ন দেশি-বিদেশি জরিপে এই বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এই বিপুল বিজয়ের বহুবিধ কারণের মধ্যে রয়েছে, বিগত ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল পেয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রদত্ত বয়স্ক এবং বিধবা ভাতা একদা সংসারে অপােক্তয় থাকা মানুষগুলোকে সংসারে জায়গা করে দিয়েছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এবং রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান ও রিকশাচালকসহ নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। সেই সাথে নারীর ক্ষমতায়ন হওয়ায় গ্রামবাংলার অবহেলিত প্রায় সব পরিবারই আওয়ামী লীগ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচির আওতায় এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প দৃশ্যমান হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রাপ্তি জনগণকে গর্বিত করেছে। ভিক্ষুকের দুর্নাম ঘুচেছে এবং যারা মানুষকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন তাদেরকে মানুষ মর্যাদা দেবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।

এ সময় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ ও বুদ্ধিজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন প্রদান এবং গণসংযোগে অংশগ্রহণকেও তিনি জয়ে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads