• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘ভোট ডাকাতদের পুরস্কৃত করছে সরকার’

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্ট তাদের পূর্বঘোষিত কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করে

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

‘ভোট ডাকাতদের পুরস্কৃত করছে সরকার’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

‘ভোট ডাকাতির’ নির্বাচনে জয়লাভ করতে যারা সরকারকে সহায়তা করেছে, তাদের সম্মানী ও পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্ট তাদের পূর্বঘোষিত কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করে। ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করে ঐক্যফ্রন্ট। কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির অন্য নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

গতকালের কর্মসূচিতে ঐক্যফ্রন্টের অনেক শীর্ষ নেতাই ছিলেন না। প্রধান অতিথি ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। জোটের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গেছেন। এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়কও দেশের বাইরে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পারিবারিক কারণে আসতে পারেননি। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন না হয়ে নাটক হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রব বলেন, ‘৩০ তারিখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোক, প্রশাসনের একটি অংশ মিলে যে ডাকাতি করেছে, এখন তার উৎসব করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলের অধীনে নেওয়া হয়েছে। পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, ঘুষ দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে। হাজার হাজার কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং, রিটার্নিং অফিসারদেরও ঘুষ দেওয়া হয়েছে।’

আ স ম রব কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের এ সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে মাঠে নামার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে আন্দোলন সীমাবদ্ধ না রেখে খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। দেশের গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। দেশের মানুষকে কোনটি অন্যায় তা শিখিয়ে-পড়িয়ে দিতে হবে না। দেশের মানুষ জানে কীভাবে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষ একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করতে সরকারের প্রতি আবেদন জানান তিনি।

এ সরকারকে নির্লজ্জ সরকার বলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের এক কান কাটা গিয়েছিল আর এবার ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ভোট লুণ্ঠন করে দুই কানই গেছে। এ কাজে যারা যুক্ত ছিল তাদের নানা রকম সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যারা অপকর্ম করেছে, তাদের পদক ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।’

সুব্রত বলেন, এ সহায়তাকারীরা আগামী দিনেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার পরিকল্পনা করেছে।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির সদস্য আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, তারা জোরালো আন্দোলনের পক্ষে তবে ঐক্যফ্রন্ট শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চায়। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads