• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ছাত্রলীগের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি : তথ্যমন্ত্রী

রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

ছাত্রলীগের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি : তথ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৯

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামপন্থী ও ডানপন্থীদের সম্মিলিত শক্তিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘অন্য কোনো প্যানেল বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও তারা নির্বাচন বয়কট করায় প্রকৃতপক্ষে তাদের পরাজয় হয়েছে। ছাত্রলীগই বিজয় অর্জন করেছে।’

আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

পরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির এক সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নির্বাচনে ছাত্রীরা হামলার শিকার হয়েছে, তা সকলেই জানে। কিন্তু, এ নির্বাচনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বামপন্থী, ডানপন্থী এবং কোটা সংস্কারপন্থীসহ প্রতিটি দলই এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

ছাত্রলীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় কিছু ত্রুটি ছিল বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে। তবে নির্বাচনে কোন ত্রুটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।

ড. হাছান বলেন, ‘ভিপি প্রার্থীসহ যে কয়জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকেও নির্বাচিত হয়েছে। সর্বোপরি ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি নির্বাচিত সকল প্রার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের অস্তিত্ব কারো চোখে পড়েনি। তারা এ নির্বাচনে নিখোঁজ ছিল।

ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিবস উপলক্ষে আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে প্রকাশনাসহ নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত দশ বছরে সরকারের নানা উন্নয়ন নিয়ে উপ-কমিটি একটি বিশেষ প্রকাশনা বের করবে।

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীনের পরিচালনায় উপ-কমিটির সদস্যরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads