• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়বে: রব

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

খালেদার কারামুক্তি দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়বে: রব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ জুন ২০১৯

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়বে বলে জানিয়েছেন জোটটির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আগামী সভা করব। এই আন্দোলনের রূপ হবে বৃহত্তর ঐক্য। ঐক্যফ্রন্টকে আরো বিস্তৃত ও ব্যাপক করতে হবে।’  সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরায় আ স ম রবের বাসায় জোটটির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আ স ম রব বলেন, ‘সরকারবিরোধী যত রাজনৈতিক দল আছে, সেসব দলকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’

উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদের হরিলুট চলছে অভিযোগ করে আ স ম রব বলেন, ‘একটা বালিশ তুলতে ১ হাজার টাকা লাগে, এটা কেউ শোনেনি। একটা বালিশের দাম ৬ হাজার টাকা, সারা দুনিয়ায় এমন ইতিহাস নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে জাতির কাছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করা’-এই প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। এটা এখনো আদায় করতে পারিনি। আদায় না করা পর্যন্ত আন্দোলন ও ঐক্য অব্যাহত থাকবে।’

রাষ্ট্রীয়ভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে অভিযোগ করে রব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু এর উত্তর আজকে আমরা দেব না। আমাদের নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করার পর আপনাদের মাধ্যমে জনগণের উত্তর দেব।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে রব বলেন, ‘আপনারা জনগণের অংশ, আমাদের অংশ। আশা করি, পজিটিভ নিউজ করবেন। যা করলে জনগণের ক্ষতি না হয়।’

আ স ম রব আরো বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে বেআইনিভাবে প্রয়োগ করে রাষ্ট্র ও সমাজজীবনে অন্যায়ের বিস্তার করে দিয়েছে। আজকে প্রতিদিন নারী- শিশু নির্যাতন হচ্ছে, কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না। যারা বিদেশে চাল রপ্তানি করছে, তাদের ভর্তুকি দিচ্ছে, কৃষককে দিচ্ছে না।’

ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রব বলেন, ‘তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। একটি নির্যাতনের বিচার হয়নি। রিপোর্ট পাওয়া যায় না। ফলে ঘুষ, দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। অন্যায় করলে বিচার হবে, এই কথা দেশের মানুষ ভুলে গেছে। অন্যায় করলে তোমার বিচার হবে, এটা বোঝাতে হবে।’

ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী যে চিঠি দিয়েছেন, ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের কাছে এই চিঠির উত্তর কী হবে? যদি সংসদ অবৈধ হয়, তাহলে আপনাদের দলের লোকেরা কেন গেল?’

তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে। তার হাসপাতালে বোমা পাওয়া গেছে। তার জীবন হুমকির মুখে। হাজার হাজার কর্মী কারাগারে। তাদের কারাগারে রেখে আমরা ঘুমাতে পারি না।’ খালেদা জিয়াসহ সরকারবিরোধী সব নেতাকর্মীকে কারামুক্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক বীর হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. জাহিদুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের নেতা মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads