• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
জাবিতে নড়বড়ে ছাত্রলীগের ‘চেইন অব কমান্ড’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

জাবিতে নড়বড়ে ছাত্রলীগের ‘চেইন অব কমান্ড’

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে নড়েবড়ে অবস্থায় সকল প্রকার চেইন অব কমান্ড। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি ওপেন সেক্রেট থাকলেও রবিবার বিএনপির ডাকা দিনব্যাপী হরতালকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিলে এই দৃশ্য দেখা গেছে। বিক্ষোভ মিছিলে অনুপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল। একই সাথে দু'জন নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তির অনুপস্থিত থাকাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নানা মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা।

গুঞ্জন আছে দীর্ঘদিন ধরে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ভেঙ্গে পড়েছে সংগঠনটির চেইন এন্ড কমান্ড। প্রায় ৬ মাস যাবৎ সম্পাদক আবু সুফিয়ান ক্যাম্পাস ছাড়া হওয়ায় স্থবির হয়েছে সংগঠনটির গতিশীলতা। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ হল কমিটি না দেওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রমেও দেখা দিয়েছে নড়েবড়ে অবস্থা ।

এ দিকে সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সংগঠনটির হাল ধরেছেন সভাপতি জুয়েল রানা। তার একক নেতৃত্বে সভাপতি ও সম্পাদক প্যানেল মিলেমিশে সাংগঠনিক কার্যক্রম করেছিল বলে জানা গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বনিবনা নেই দুই প্যানেলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। তাছাড়া সংগঠনটি সম্পাদক শূন্য হয়ে পড়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা। তাই একরকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাংগঠনিক কার্যক্রম।

রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে সভাপতি, সম্পাদক বিহীন একটি বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, জাবি ছাত্রলীগের আগামী দিনের যেকোন কর্মসূচী এই ফোরামেই হবে।’

শাখা সভাপতি-সম্পাদক এই মিছিলের বিষয়ে অবগত কিনা? -এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন জানান, ‘সাধারণ সম্পাদক গত ৬ মাস যাবৎ ক্যাম্পাসে নেই। সভাপতির সাথে গত একমাস যাবৎ যোগাযোগ বন্ধ, উনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রলীগ কোন ব্যক্তির সংগঠন না। সভাপতি-সম্পাদকের নির্দেশনার অভাবে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি।

এ বিষয়ে সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘মিছিলের বিষয়ে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা ছিল। কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল করেছে। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবগত করেছি। কেন্দ্র যা ভালো মনে করে করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জুয়েল রানা বলেন, কেন্দ্র যতদিন চায় ততদিন আমি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। কেন্দ্র না চাইলে সরে যাবো। কেন্দ্র চেয়েছে বলে এতোদিন টিকে আছি।

সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কেন্দ্র ভালো বলতে পারবে। মনেহচ্ছে এখনো তার পদত্যাগপত্র গ্রান্টটেট হয় নি। হলে তো নোটিশ আকারে বের হবার কথা ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads