• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

খেলা

মুশফিকের সেঞ্চুরির পরও চাপে উত্তরাঞ্চল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৮

আন্তর্জাতিক সূচির কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্সনে জাতীয় দলের তারকাদের খেলা হয় না বললেই চলে। কিন্তু এবার ভিন্ন। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শেষ। নেই জাতীয় দলের ব্যস্ততা। সেই সুযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) খেলছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর এই সুযোগে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। বগুড়ায় মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে উত্তরাঞ্চলের হয়ে চমৎকার এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন জাতীয় দলের এই তারকা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি মুশফিকের নবম সেঞ্চুরি। কিন্তু এরপরও মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে চাপে রয়েছে তার দল উত্তরাঞ্চল। তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৬ রান। প্রথম ইনিংসে এখনো ২৪৩ রানে পিছিয়ে আছে মুশফিকের দল। অন্যদিকে সিলেটে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে চালকের আসনে আছে দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানের লিড নিয়েছে তারা।

বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন উত্তরাঞ্চলের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকী ও মিজানুর রহমান। মাত্র ৭ রান করে আউট হন জুনায়েদ। তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন মিজানুর। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সপ্তম অর্ধশতক থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান শান্ত (৪৫)। এর কিছুক্ষণ পর ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিজানুর।

এরপর অনেকটা একাই লড়তে থাকেন মুশফিকুর রহিম। পেসার ইবাদত হোসেনের বোলিংয়ে দ্রুত সানজামুল ইসলাম (১৪) ও ধীমান ঘোষ (৯) আউট হন। লড়াইয়ে আরিফুল হককে সঙ্গী হিসেবে পান মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু আরিফুল ৪২ রানে তানভীর হায়দারের শিকার হন। ৯৩ বলের ইনিংসটিতেতিনটি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল।

ফরহাদ রেজার (৪) বিদায়ের পর মুশফিককে সঙ্গ দেন তাইজুল ইসলাম। এই দুইজন মিলে শেষ করেন দিনের বাকিটা সময়। ১৯৪ বল খেলে পূর্ণ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের নবম সেঞ্চুরি (সাত চার ও এক ছয়ে)। দিন শেষে ১৯৯ বল খেলে ১০১ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। আর ৬৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২১ রান করে অপরাজিত আছেন তাইজুল ইসলাম। ইবাদত হোসেন ৩টি ও মোশাররফ হোসেন রুবেল ২টি উইকেট নেন।

এদিকে সিলেটে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে আগের দিনের তিন উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন পূর্বাঞ্চলের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ও ইয়াসির আলী। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ১৭ রান যোগ করতেই দিনের প্রথম আর ইনিংসের চতুর্থ উইকেট হারায় তারা। ব্যক্তিগত ২ রানে আউট হন ইয়াসির। আর ব্যক্তিগত ৭৫ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে যোগ করতে সক্ষম হন মাত্র ১৫ রান। অধিনায়ক অলক কাপালি ১২ রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে পূর্বাঞ্চল।

তরুণ দুই ব্যাটসম্যান জাকের আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের অর্ধশতকে চাপ সামলে ওঠেন তারা। ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করে ৭৬ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হন জাকের। আর ৭৫ রান করে দিন শেষে অপরাজিত থাকেন সাইফুদ্দিন। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১১৪ রান যোগ করেন তারা। পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে অলআউট হয় পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে কামরুল ইসলাম রাব্বি ৪টি এবং আবদুর রাজ্জাক ও নাঈম ইসলাম ৩টি করে উইকেট নেন।

১০৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের। প্রথম ইনিংসে ৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন এনামুল হক বিজয়। এরপর ফজলে মাহমুদকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস। দুজনকে আউট করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। নাফীসের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। মাহমুদ করেন ৪২ রান। সৌম্য সরকারকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকু পার করেন তুষার ইমরান। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। দিন শেষে তুষার ৪৬ ও সৌম্য ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ১৪২ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ ছিল ৪০৩ রান। ফলে সব মিলিয়ে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানের লিড নিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads