• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
যেসব ভুলে জার্মানির বিদায়

একের পর এক ভুলের খেসারত দিচ্ছে জার্মানি

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

যেসব ভুলে জার্মানির বিদায়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৮

চার বছর আগে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ জোয়াকিম লো’র এবারের বিশ্বকাপের দল বাছাই নিয়েই সমালোচনা তৈরি হয় আসর শুরুর আগে। আর আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হওয়ার পর নিশ্চিতভাবে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়বেন তিনি।

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড লেরয় সানেকে রাখেননি তিনি। গত মৌসুমে এই ফরোয়ার্ড ম্যানচেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল দেওয়া মারিও গোয়েৎজেকেও দলে রাখেননি তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান লো। থমাস মুলারকে বসিয়ে মেসুত ওজিলকে খেলালেও আর্সেনাল মিডফিল্ডার দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।

২০০৬ থেকে জার্মানির দায়িত্বে থাকা লো দলকে ২০০৮-এর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিয়ে যান। তার অধীনেই পরবর্তী সময়ে বিশ্বকাপ জেতে জার্মানরা। তবে লো’র দলের প্রধান কয়েকজন খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ এখন শঙ্কার মুখে।

ম্যানুয়েল ন্যয়ারের বয়স ৩২, সামি খেদিরার ৩১ আর ওজিল ও মার্কো  রেউসের বয়স ২৯। অর্থাৎ বিশ্বকাপের মূল পর্বে তাদেরকে আর খেলতে নাও দেখা যেতে পারে। তবে লো বলেছেন, জার্মানির ফুটবলে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই হার কি জার্মান ফুটবলে অন্ধকার অধ্যায় শুরু করবে? আমার মনে হয় না।’ গ্রুপ ‘এফ’-এর আরেক খেলায় যখন মেক্সিকোর বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতছিল সুইডেন, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গোল দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল জার্মানি।

জার্মানি জিতলে গোল ব্যবধানে মেক্সিকো বাদ পড়ত বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু তখন উল্টো গোল করে বসে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে কিমের গোল শুরুতে অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে ভিডিও রিভিউ করে দেখা যায় জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের গায়ে লেগে কিমের কাছে বল আসে। কাজেই বাতিল করে দেওয়া হয় অফসাইডের সিদ্ধান্ত আর এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া।

ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া জার্মানদের হয়ে আক্রমণে যোগ দেন গোলরক্ষক ন্যয়ারও। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগান টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন। আক্রমণভাগে থাকা ন্যয়ারের অনুপস্থিতির সুযোগে খালি পোস্টে গোল করে নিশ্চিত করেন ২-০ গোলের জয়।

দুই গোল খেলেও ম্যাচে জার্মানির হতাশা হয়ে থাকবে কয়েকটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করা। লিয়ন গোরেৎজকার একটি হেড দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক চো হিয়েওন-উ। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন টিমো উইনারও। প্রায় ১২ গজ দূর থেকে পোস্টের বাইরে শট নেন তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়া দুই গোল দেওয়ার আগে একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ম্যাটস হামেলসও। মাত্র ছয় গজ দূর থেকে নেওয়া তার হেড চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। এই হারের সঙ্গে হতাশাজনকভাবে শেষ হলো জার্মানির টানা দুই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads